তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা বিদ্রোহী এক সেনা সদস্যের শিরশ্ছেদ করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে ইস্তাম্বুলের বসফরাস সেতুর উপর এক সেনার মস্তকবিহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ক্ষমতাসীন জাস্টিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির সমর্থকরা তার শিরশ্ছেদ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজপথে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। তারা ইস্তাম্বুলের বসফরাস ও সুলতান মেহমুত সেতুর উপর অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। সেইসঙ্গে সিএনএন-তুর্ক টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেয়।[ads1]
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের দল একে পার্টির ইস্তাম্বুলের দপ্তরেও হানা দেয় বিদ্রোহী সেনা সদস্যরা।
এ সময় উপকূলের শহর মারমারিসে অবকাশে থাকা এরদোয়ান অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই স্মার্টফোনে দেয়া এক ভাষণে জনগণকে এ অভ্যুত্থান প্রতিরোধে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
আর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার বিপুল সংখ্যক সমর্থক রাস্তায় নেমে আসে এবং অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে
শনিবার ভোরে বিদ্রোহী সেনারা আত্মসমর্পণ করে এবং এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
অভ্যুত্থানের পর তড়িঘড়ি করে ইস্তাম্বুল পৌঁছে এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “সেনাবাহিনীর ক্ষুদ্র একটি দল অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল, তারা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে, এজন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।”
এদিকে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে ২৮৩৯ সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।[ads2]