রাশিয়ার একটি দৈনিক জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কান্দাহারে মালয়েশিয়ার নিখোঁজটি বিমানটি পাওয়া গেছে। সেইসাথে বিমানটির যাত্রীরাও সবাই সুস্থ আছে বলে জানায় পত্রিকাটি। ইফোক টাইমস।
মঙ্গলবার রাশিয়ার দৈনিক মস্কোভস্কি কমসুলিতস তাদের এক প্রতিবেদনে কোনো নাম উল্লেখ না করে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ দাবি করে। তাতে বলা হয়, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের কান্দাহারে বিমানটি পাওয়া গেছে।
নিখোঁজ বিমানটির পাইলট দোষী নয় উল্লেখ করে পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ”মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানটি ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ছিনতাই হয়। বিমানটির পাইলটরা এর জন্য দায়ী নন। বিমানটি ছিনতাই করেছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। যে সন্ত্রাসী পাইলটদেরেকে নির্দেশনা দিয়ে বিমানটি নিয়ে গেছে তার নাম ‘হিটচ’ বলে আমরা জানি। বিমানটি আফগানিস্তানের কান্দাহারেই আছে। তবে সেটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে খুব দূরে নয়।”
পত্রিকাটি আরো জানায়, “বিমানটি পর্বত ঘেরা পথের ধারে আছে। বিমানিটর একটি ডানা ভাঙা। অবতরণের সময় হয়ত সেটি ভেঙে যায়। তবে সকল যাত্রীই বেঁচে আছে। তারা কোনো খাবার ছাড়াই একটি চালাঘরের মধ্যে খুব ঠাসাঠাসি করে আছে।”
ছিনতাই করার সময় বিমানটিতে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে তুলে আনা হয়েছিল উল্লেখ করে পত্রিকাটিতে বলা হয়, “এশিয়ার ২০ জন বিশেষজ্ঞকে তুলে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন জাপানি।”
জাপানের এই বিশেষজ্ঞ হয়ত কোনো ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর ফার্মে কাজ করেন।
মস্কোভস্কি কমসুলিতস দৈনিকটি রাশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এর ১১ লাখেরও বেশি কপি প্রতিদিন বিক্রি হয়। কিন্তু পত্রিকাটি যে দাবি করছে তা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এর আগে যেমনটি ১৬ মার্চ যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছিল, বিমানটি গতি পরিবর্তন করে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলে যায়।
আফগান সীমান্তের কাছে তালেবান নিয়ন্ত্রিত রাডারের মাধ্যমে বিমানটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে নামানো হয়েছে বলে জানায় ইন্ডিপেন্ডন্ট।
তবে সর্বশেষ এ পর্যন্ত যেসব দাবি উঠে এসেছে মূলধারার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তার সাথে এর কোনো মিল নেই।
যদিও এর আগে দাবি করা হয়েছে, বিমানটি ছিনতাই হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত এ দাবি থেকে সবাই সরে এসেছে।
ইতোমধ্যে গত প্রায় ২০ দিন ধরে সাগরে বিশেষ ভারত মহাসাগরে জোর তল্লাশি চলছে। এরইমধ্যে বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের সন্ধানে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে। অস্ট্রেলিয়া, চীন ও যুক্তরাজ্য এ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।