আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ইস্তাম্বুল পুরোপুরি এরদোগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে। জনতার উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে গেছে ট্যাঙ্ক, কামান আর বন্দুক।
এদিকে ঘটনার শুরুতেই এরদোগানের মোবাইল বার্তায় সারা দিয়ে প্রথমে পুরো দেশ জুড়ে রাজপখ দখলে নেয় জনতা। জনতার উত্তাল ঢেউয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিদ্রোহী সেনা বাহিনীর ট্যাঙ্ক, কামান আর বন্দুক। বলা যায় জনগনের শক্তির কাছে পরাভুত হয় সামরিক শক্তি। ট্যাঙ্ক, কামান আর বন্দুকের গুলি পরাজিত হয় জনপ্রতিরোধের কাছে। জনগনের নেতা এরদোগান ক্ষমতায় বহাল থাকেন জনগনের সহায়তায়।
এক পর্যায়ে ট্যাঙ্ক, কামান আর বন্দুক রেখে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয় সেনা সদস্যরা। ট্যাঙ্ক, কামান জনতার দখলে চলে যায়। রাজপথে ট্যাঙ্ক, কামান এখন পুরোপুরি জনগনের নিয়ন্ত্রণে। ট্যাঙ্ক গুলোতে উঠে রাত থেকেই জনগণ উল্লাস প্রকাশ করছে।
তুরস্কের এই ঘটনা প্রমান করে চামচা, চাটুকার, তোষামোদকারী আর চাকর নির্ভর নেতা নন এরদোগান। তিনি পুরোপুরি জনগন নির্ভর জনতার নেতা। এজন্যই গভীর রাতের অন্ধকারও জনতাকে দমাতে পারেনি। এরদোগানের ডাকে সারা দিয়ে মুহূর্তেই রাঁতের অন্ধকারে রাজপথে নেমে আসে ঝাঁকে ঝাকে মানুষ। জীবনবাজি রেখে ট্যাঙ্ক-কামান প্রতিরোধ করতে এগিয়ে যায় তারা। কেউ কেউ রাজপথে শূয়ে পড়ে ট্যাঙ্ক প্রতিরোধ করতে। চামচা, চাকর, তোষামোদকারী আর চাটুকার নির্ভর নেতা হলে এমনটা সম্ভব হতো না। সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক, কামান দেশে তখন জনগন স্বস্তি পেত আর চাটুকার, চামচা, তোষামোদকারী চাকররাও তখন পালিয়ে বেড়াত।
তুরস্ক থেকে একজন সাংবাদিক জানান, পরিস্থিতি এরদোগান সরকারের নিয়ন্ত্রনে এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে মনে হয়। জনগনের সহযোগিতায় বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের অনেক অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজপথ জনগনের উপস্থিতিতে দেশজুড়ে রাজপথ উত্থাল হয়ে আছে। ইস্তাম্বুলে ফিরে ভোরের আলো উঠার আগেই এরদোগান দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন বিভিন্ন জায়গায়। সবকিছু পুরোপুরি সচল করতে প্রেসিডেন্ট নিজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। এমনকি বিভিন্ন বিমানবন্দরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজে।
তুরস্কের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার বরাত দিয়ে সরোজ মেহেদী জানান, ইস্তাম্বুল পুরোপুরি এরদোগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আঙ্কারার একটি সেনাঘাটি বিদ্রোহী সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জনতার উত্থার ঢেউ দেখে মনে হচ্ছে বেশিক্ষণ এ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে না। কারন জনগন সরকারের পক্ষে। এপর্যন্ত ৮০০-এর মত গ্রেফতার হয়েছে বলে খবার দিচ্ছে তুরস্কের পত্রিকা গুলো। তুরস্কের সরকার আত্মসমর্পনকারী সেনা সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেছে। আর যারা আত্মসমর্পন করবে না তাদের কড়া মূল্য দিতে হবে এই ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
এরদোগান সরকার এই সেনা বিদ্রোহের জন্য দায়ী করেছেন আমেরিকায় অবস্থানকারী সরকার বিরোধী নেতা ফেতুল্লাহ গোলেনকে। এরদোগান তাঁর সর্বশেষ ভাষনে ফেতুল্লাহ গোলেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন-ষড়যন্ত্র অনেক করেছেন। আর কত করবেন। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করবেন না। দেশে আসুন।