[ads1]ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।বিশেষ এর ঢেউ লেগেছে ইইউ দেশগুলোতে।ইউরোপীয় নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও কূটনীতকরা এ নিয়ে কথা বলেছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন সুজ বলেন, “ফলাফলের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদেরকে এখন দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দেশের জন্য ডেভিড ক্যামেরনের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যত নির্ধারণে আমাদেরকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, লন্ডনের শেয়ার বাজারের এখন কী অবস্থা তা দেখতে পাচ্ছেন?আমরা চাই না ইউরোতে একই প্রভাব পড়ুক।”
ডাচ ফ্রিডম দলের নেতা গির্ট উইল্ডার্স বলেন, “ব্রিটিশদের অভিনন্দন! এখন আমাদের পালা। সময় এসেছে ডাচদের গণভোটের।”
ফ্রান্সের ফ্রন্ট ন্যাশনালের নেতা ম্যারিন লে পেন বলেন, “এটি স্বাধীনতার জয়!এই বিষয়টি নিয়ে আমিও কয়েক বৎসর ধরে কথা বলছি। ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশেও গণভোট দরকার।”
ফরাসি ডানপন্থি রাজনীতিবিদ ম্যারিয়ন বলেন, “এখন ব্রেক্সিট থেকে ফ্রেক্সিট দরকার। আমাদের দেশেও এমন একটি গণভোটের সময় চলে এসেছে। ফরাসিদের এই বিষয়ে মতামত প্রদানের অধিকার রয়েছে।” [ads1]
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার ওপর খুব তাড়াতাড়ি ব্রিটেনের একটা সরাসরি প্রভাব পড়বে। আইনত ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে কয়েক বৎসর সময় লাগবে। ইতিমধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়ে গেছে। কিছু সময়ের জন্য হয়তো এই ধরনের অনিশ্চয়তা থাকতে পারে।”
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার বলেন, “ব্রিটেনের এই সংবাদ আসলেই প্রশান্তির। তবে ইউরোপ ও ব্রিটেনের জন্য এটি দুঃখজনক দিনও বটে!
জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল বলেন, “ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ইউরোপের জন্য দুঃখজনক।”
ইউরোপীয় পার্লামেণ্টের বৃহৎ গোষ্ঠীর নেতা ম্যানফ্রেড ওয়েবার বলেন, “ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ দুই বৎসর সময় লাগতে পারে। এর জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রস্থান মানে প্রস্থানই।”জার্মান ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যান্টন বোয়ের্নার বলেন, “ব্রিটেনের জন্য এটি সর্বানাশা ফলাফল। ইউরোপ এবং জার্মানির জন্যও এটি খারাপ খবর। জার্মানের অর্থনীতির জন্য এটি দুঃসংবাদ বয়ে আনবে। এটা খুব উদ্বেগের বিষয় যে, বিশ্বের প্রাচীন গণতন্ত্র আমাদের দিকে ফিরে আসছে।” [ads2]