ঢাকা: আলকায়েদা প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরি ভারতীয় উপমহাদেশে আলকায়েদার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে ৫৫ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। ৫৫ মিনিটের ভিডিওটি তৈরি করেছে সংগঠনটির মিডিয়া শাখা আস-সাহাব। তৈরির পর ভিডিওটি বিভিন্ন জিহাদি ফোরামে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ফুটেজেটির শুরুতেই পুরনো একটি ভিডিও জুড়ে দেয়া হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, লাদেন দক্ষিণ-পশ্চিশ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং হর্ন অব আফ্রিকা খ্যাত আফ্রিকার উত্তর পশ্চিম উপকূলের ম্যাপ নিয়ে কাটা ছেড়া করছেন।
লাদেনের অংশের পরেই দেখা যায় জাওয়াহিরিকে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সক্রিয় সংগঠনটির এই নেতা বলেন, ‘আলকায়েদার জিহাদ ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে সম্প্রসারিত করা হবে। এটা হঠাৎ করেই করা সম্ভব হয়নি। বরং গত দুবছরের চেষ্টার পর এই উপমহাদেশের মুজাহিদদের একটি সংঘটনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’
আলকায়েদার নতুন এই শাখা তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বকে স্বীকার করে পাকিস্তানি উগ্রপন্থী ইসলামিক নেতা আসিম ওমরের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। ভিডিওটিতে আলকায়েদার নতুন এই শাখার টার্গেট হিসেবে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ভারতের আসাম, গুজরাট, কাশ্মির রাজ্যের কথা।
ভিডিওতে উপমহাদেশীয় মুসলিমদের প্রতি আলকায়েদার যোদ্ধাদের সহায়তার আহ্বান জানান জাওয়াহিরি তিনি বলেন, ‘যে অঞ্চলটি এক সময় মুসলিমদের দখলে ছিল তা কাফেররা দখলে নিয়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নতুন এই শক্তি এ অঞ্চলে মুসলিমদের মধ্যে কৃত্রিম সীমান্ত গুড়িয়ে দেবে।’
ওসামা বিন লাদেন প্রতিষ্টিত এই সংগঠনটি বিশ্বের সকল মুসলিম দেশে এক ও অভিন্ন খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধরত জিহাদি সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দাবি করে আসছে। কিন্তু ২০১১ সালে লাদেনের পর সংগঠনটি বাধার মুখে পড়ে। প্রথমত সংগঠনটির আফ্রিকান শাখা এবং পরে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের উত্থানের পর।
দক্ষিণ এশিয়ায় আল কায়েদার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার মাধ্যমে জাওয়াহিরি মূলত নিজেদের সংগঠনের ওপর আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এবং কাশ্মির ও মায়ানমারের অস্থিরতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
জাওয়াহিরি ছাড়াও ফুটেজটিতে দক্ষিণ এশিয়ার আলকায়েদা নেতা আসিম ওমরের কথাও ছিল। তবে তার চেহারা দেখা যায়নি। ওমর উর্দুতে কথা বলছিল। এ সময় ভিডিওতে দক্ষিণ এশিয়ার ম্যাপ দেখানো হয়। সেই সঙ্গে ওমরের কথার আরবি সাবটাইটেল জুড়ে দেয়া হয়।
আলকায়েদার বর্তমান প্রধান জাওয়াহিরিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় বহু বছর ধরেই রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে আড়াই কোটি মার্কিন ডলার। প্রত্যেক দিনই জাওয়াহিরির সন্ধানে পাক-আফগান সীমান্তে ঘোরাফেরা করে মার্কিন ড্রোন।