সৌদি আরবের তামাকবিরোধী সংগঠন টোবাকো অ্যান্ড নারকোটিকস কমব্যাট সোসাইটির প্রধান শেখ আবদুল্লাহ আল-ওথাইম গতকাল (রোববার) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
টোব্যাকো অ্যান্ড নারকোটিকস কমব্যাট সোসাইটি সৌদিতে কাফা নামেও পরিচিত। বাদশা আবদুল আজিজ সম্মেলন কেন্দ্রে কাফা অ্যাওয়্যারনেস ফোরামের দ্বিতীয় বার্ষিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আল-ওথাইম।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্বোধনী ভাষণে আল-ওথাইম বলেন, ‘ধূমপানের কারণে ২০১৫ সালে সৌদি আরবে ২৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। আর নেশার কারণে বছরের পর বছর পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝা বাড়ছে।’
কাফার প্রধান জানান, নেশাগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সম্প্রতি কাফা একটি বিশেষায়িত কেন্দ্র চালু করেছে। এই কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের সেবা দেবে। মক্কা এলাকায় কাফার এ ধরনের ছয়টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সাময়িকী ল্যানসেট জানিয়েছে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মদপান করে সৌদি নাগরিকরা। দেশটির মদ্যপায়ীদের প্রতিবছর গড়ে ৩৩ দশমিক ৯ লিটার মদ প্রয়োজন হয়।
ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের মদ্যপায়ীরা প্রতিবছর গড়ে ৯ লিটার মদপান করে। সেদেশের মদ্যপায়ীরা প্রতিদিন গড়ে ১৭ দশমিক ৬ গ্রাম অ্যালকোহল পান করে। গবেষণায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশে মদপান নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোনো নজরদারি নেই।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করে নেপালের মদ্যপায়ীরা (২৮ দশমিক ৮ লিটার)। এ অঞ্চলে দেশটির পরই আছে ভারত (২৮ দশমিক ৭ লিটার), শ্রীলঙ্কা (২০ দশমিক ১ লিটার) ও মালদ্বীপ (১৩ দশমিক ৮ লিটার)।