মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাংক একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্তিত্ব নিয়ে এক কেলেংকারির তদন্তের পর দেশটির এটর্নি জেনারেল বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
এটর্নি জেনারেল আপান্দি আলি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজাকের ব্যাংক একাউন্টে যে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের চালান গেছে- তা তিনি সৌদি রাজপরিবারের কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসেবে পেয়েছিলেন।
মালয়েশিয়ার এটর্নি জেনারেল – যিনি সরকারেরই একটি অংশ – এখন বলছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত তিনি থামিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন দপ্তর যে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করেছে, তার ভিত্তিতে তিনি এখন সন্তুষ্ট যে সৌদি রাজ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দান করেছে। কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই এই অর্থ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলি বলেন, এই দান গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে কোনো অপরাধ করা হয়নি বলে তিনি মনে করছেন।
রাজাকের প্রতিপক্ষরা অবশ্য বলছেন, সৌদি রাজ পরিবার কেন তাকে এত টাকা দেবে তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকরা অভিযোগ করেছিলেন যে ওই অর্থ এসেছিল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল থেকে।
তবে রাজ্জাক এ অভিযোগ একাধিকবার অস্বীকার করেন।
তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজাকের ওপর তীব্র রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছিল। অনেকেই তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন।
গত কয়েক মাস ধরে মালয়েশিয়ায় এ ঘটনা বিরাট আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়।
কুয়লালামপুর থেকে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, এই অর্থ-কেলেংকারিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
যেমন, এটর্নি জেনারেল বলছেন সৌদি দানের মোট অর্থ থেকে ৬২ কোটি ডলার ইতিমাধ্যেই ফেরত দেয়া হয়েছে। তাহলে বাকি ছয় কোটি ডলার কোথায় গেল?
সংবাদদাতারা বলছেন, এসব প্রশ্ন নাজিব রাজাকের সাত বছর-দীর্ঘ নেতৃত্বের ওপর কালো ছায়া ফেলেছে।
তবে এটর্নি জেনারেলের আজকের সিদ্ধান্ত দলের মধ্যে তার অবস্থানকে আবার সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে বলে তারা উল্লেখ করছেন।
সূত্র : বিবিসি
Prev Post