তুরস্কের রাজধানীতে তখন মধ্যরাত। মাত্র আড়াই ঘণ্টা আগে অভ্যুত্থানের খবর পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জরুরি একটি সভায় বসেছিলেন তুরস্কের ৯ সিনিয়র মন্ত্রী। তখন যা পরিস্থিতি, তাতে তাদের মনে হয়েছে, বাঁচার আর আশা নেই। মৃত্যুর জন্য তারা তৈরি হয়ে আছেন।[ads1]
ব্যর্থ অভ্যুত্থান থেকে রক্ষা পাওয়ার পর এভাবেই ওই রাতের বিভীষিকার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের এক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল তারা (অভ্যুত্থানকারীরা) সফল হচ্ছে এবং আমরা অবশ্যই মারা যাচ্ছি। আমাদের মৃত্যুর জন্য তৈরি হতে হবে। এই লড়াইয়ে আমরা অবশ্যই শহিদ হতে যাচ্ছি।’
তিনি তার দেহরক্ষীকে তার ব্যক্তিগত বন্দুকটি আনতে বললেন। ওই ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী গুমট পরিবেশে বের হয়ে গেল। মন্ত্রীরা বুঝতে পারছিলেন না, এসব প্রহরী কোন পক্ষের।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান টিআরটি বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেছে। সেখান থেকে তাদের ঘোষণা প্রচার করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুণ্ডপাত করা হচ্ছে। ওই ঘোষণা শুনে মন্ত্রীরা টানা দুই নীরব হয়ে রইলেন।
তারপর পরিবেশ একটু সহনীয় করতে এক মন্ত্রী কৌতুক করে বললেন, ‘ভাইরা, টিআরটির খবর দেখার দরকার কী। আমি তো স্বাভাবিক সময়েও এই চ্যানেল দেখি না। এটা তো স্রেফ সরকারি টিভি।'[ads2]
তবে তাদের বেশিক্ষণ ওমন পরিস্থিতিতে থাকতে হয়নি। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রতিরোধের কথা তাদের মোবাইলে ভেসে এলো। তারা সাহস ফিরে পেলেন। নতুন করে লড়াইয়ে নামার কথা ভাবলেন। সবকিছুই তাদের হাতে ফিরে এলো।