তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অন্তত ২৩০০ মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে ১৪৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ৮১০ জন। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৩শ’ ছাড়িয়েছে।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি কারণ এবারের ভূমিকম্পকে কঠিন করে তুলেছে। ইস্তাম্বুলের বোগাজিসি ইউনিভার্সিটির কান্দিলি অবজারভেটরি অ্যান্ড ভূমিকম্প রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুস্তাফা এরডিক আল-জাজিরাকে বলেন, ‘হতাহতের সংখ্যা এত বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ ভবনগুলোর নিম্নমান।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প-প্রতিরোধী নকশা কোড অনুসারে নির্মিত ভবনের সংখ্যা এখনও কম। যেসব ভবন ধসে পড়েছে সেগুলো ২০০০ সালের আগেই নির্মিত। তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় দুই হাজার ৯০০ ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় দুই হাজার ৯০০ ভবন ধসে পড়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
তুরস্ক বিগত ৮৪ বছরের মধ্যে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। যা ১৯৩৯ সালে উত্তর-পূর্ব তুরস্কের ভূমিকম্পের মতো ছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমিতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
BBC