[ads1]ভিয়েতনামের রাজধানীর একটি ফুটপাতের পাশে নিজের ছোট হোটেল চালিয়ে ভালোই ব্যবসা করছেন ৫৪ বছর বয়সী নাইজুয়েন থাই লুয়েন। প্রতিদিন তার রেস্টুরেন্টে সস্তায় খাবার খেতে আসেন অনেক মানুষ। তাদের কারো কারো সাথে আবার দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটিও করতে হয় তাকে।
কাজ নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় যে হোটেলের কোনো নির্দিষ্ট ক্রেতার দিকে ফিরেও তাকানোর সময় হয় না নাইজুয়েনের। তবে এদিন সন্ধ্যায় তার দোকানে এমন একজন ক্রেতা হাজির হয়েছিলেন যে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। কারণ সেদিন তার হোটেলে প্লাস্টিকের টুল টেনে রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।[ads2]
রেস্টুরেন্টে বসে আর আট-দশ জনের মতোই সেখানকার মেন্যু চেখে দেখেছিলেন ওবামা। নিজের রেস্তোরাঁয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি সম্পর্কে নাইজুয়েন বলেন, আমার এই ছোট্ট হোটেলে বারাক ওবামার আগমন আমাদের পুরো পরিবারকে বিস্মিত করেছে। আমরা কখনো এটা কল্পনাও করিনি যে আমাদের এখানে খেতে আসবেন ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত রাঁধুনি অ্যান্থনি বোর্দাইনের সঙ্গে টুলে বসে খাবার খান ওবামা। অ্যান্থনি তার ইনস্টাগ্রাম পেজে সে ছবি পোস্ট করেন। তবে হোটেলটিতে অন্য গ্রাহকরা তা টেরই পাননি যে, তাদের পাশের প্লাস্টিক টুলে বসে দলবল নিয়ে খাবার খাচ্ছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তবে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাইরে তখন কৌতূহলী জনতার ভিড়। কী খেলেন ওবামা সেখানে।
তার মেন্যুতে ছিল ভিয়েতনামিজ গ্রিল, শূকরের মাংসের সুপ, রাইস নুডলস ও সবজি। সব কিছুই হ্যানয় বিয়ার দিয়ে ধুয়ে নেওয়া হয়। অ্যান্থনি ওবামার চপস্টিক দিয়ে খাওয়ার দক্ষতার প্রশংসাও করেন। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তোলে।[ads1]
মূলত ৩২ বছরের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ আড়ালে চলে যায় ওবামার ৬ ডলারের এই খাবার গ্রহণের আলোচনায়। ওবামার সফরের তৃতীয় ও শেষ দিনে স্থানীয় নাগরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সেখানে ভোজ সারেন ওবামা। বৈঠকে ভিয়েতনামের রাজনৈতিক স্বাধীনতা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে অনেক নাগরিক নেতাই দেখা করতে পারেননি ওবামার সঙ্গে। সোমবার ভিয়েতনামের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেনওবামা। ভিয়েতনামে তিন দিনের সফর শেষে দু’দিনের সফরে জাপান যাবেন তিনি। সেখানে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।[ads2]