ওয়াশিংটন, ৪ জুন- যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত হিজাবের পক্ষে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা হিজাব পরে কর্মস্থলে যেতে পারবেন। তারা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন। হিজাবের কারণে কোনো নারীকে চাকরি লাভ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। ১ জুন ওই আদালত এ রায় দিয়েছে। আদালতে ৯ সদস্যের বেঞ্চে ৮ জন বিচারক হিজাবের পক্ষে মত দেন। মাত্র ১জন বিচারক এর বিপক্ষে মত দেন। দীর্ঘ সাত বছরের আইনি লড়াই চলার পর হিজাবের পক্ষে এ রায় এলো। উল্লেখ, ২০০৮ সালে সামান্তা এলোফ নামে ১৭ বছরের এক মুসলিম তরুণী হিজাবের কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত হলে আদালতের শরনাপন্ন হন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির সমতা কমিশন (Equal Employment Opportunity Commission-EEOC) তার পক্ষ হয়ে কোম্পানিটিকে কারণ দর্শাকে বলে। এর প্রেক্ষিত্রে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হিজাবের কারণে কাউকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি ১৯৬৪ সালের সিভিল রাইটস অ্যাক্টের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে ইইওসি। ওই আইনে ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার কারণে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর ১ জুন আদালতে ইস্যুটির সুরাহা হয়। গত কয়েক বছর ধরে জার্মানী, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফ্রান্স ২০১৪ সালে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করে। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রে হিজাবের বৈধতা অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা। এখন এর প্রভাব ইউরোপেও পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।