ঢাকা: ইসরায়েলি গুপ্তচর সন্দেহে ১৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে হামাস। দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখার উর্ধ্বতন তিন কমান্ডার নিহত হওয়ার একদিন পর তাদেরকে হত্যা করা হল। প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামাসের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, শুক্রবার সকালে গাজা সিটির পুলিশ সদর দপ্তরে প্রথম দফায় ১১ জনকে হত্যা করা হয। শুক্রবার আরো পরের দিকে হত্যা করা হয় বাকি ছয় জনকে। সেন্ট্রাল গাজা স্কয়ারে প্রকাশ্য দিবালকে ওই ছয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সন্দেহে আরো তিন জনকে হত্যা করেছিল হামাস।
হামসপন্থি ওয়েবসাইট ‘আল মাজদ’ এসব হত্যা সম্পর্কে জানায়, ওই ছয় জনের হাত বাঁধা ছিল এবং মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত ছিল কালো কাপড়ে। তাদেরকে একটি মসজিদের বাইরে নামাজ শেষে আগত মুসল্লিদের উপস্থিতিতে গুলি করে হত্যা করেন এক মুখোসধারী হামাস সদস্য। গাজার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, এর আগে সন্দেহভাজন ১১ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড রায় দিয়েছিলেন গাজার আদালত। গাজায় পুলিশের সদর দপ্তরে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এদিকে পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরা প্রতিনিধি জ্যাকি রাওল্যান্ড বলছেন, ‘হামাস নেতাদের ওপর বরাবরই গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে থাকে ইসরায়েল। এই কাজের জন্য তারা পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা থেকে ব্যাপকভিত্তিতে ইনফরমার নিয়োগ করে থাকে। কখনো সখনো এসব ইনফরমারদের আর্থিক সহায়তা দেয় ইসরায়েল। অধিকাংশ সময়ই ব্ল্যাকমেইলিং, হুমকি, মিথ্যা আশ্বাস এবং পরিবারের সদস্যদের হত্যার ভয় দেখিয়ে এদেরকে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োগ করে ইসরায়েল।’
আল জাজিরা প্রতিনিধি জ্যাকি রাওল্যান্ড আরো বলছেন, ওই ১৮ জনকে হত্যার মাধ্যমে অন্য ফিলিস্তিনিদেরকেও ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তপরবৃত্তির বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিল হামাস।