৮০ ফুট বালুর নিচে চাপা পড়েও জীবিত উদ্ধার হয়েছেন এক নারী। একটি গর্তে ৩০ মিনিট পর্যন্ত বালুচাপা অবস্থায় ছিলেন তিনি। এ অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়াং প্রদেশের একটি। ৩৪ বছর বয়সী ওই শ্রমিকের নাম মিংমি জিওং।
ফুজিয়াং প্রদেশের জিনজিয়াং শহরের একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করছিলেন তিনি। পাশেই কয়েক টন বালুর স্তুপ করা ছিল। হঠাৎ বালির স্তুপ ভেঙে পড়তে থাকে তার উপর। কিছু বুঝে উঠতে পারেন না তিনি। আশপাশে ধরার মতো কোনো অবলম্বনও ছিল না তার। ধীরে ধীরে বালুর মহলে চাপা পড়তে থাকেন তিনি। যখন বালু পড়া থামে তখন চারদিক অন্ধকার ছাওয়া। চোখে কিছুই দেখতে পান না জিওং। ভয়ে আতঙ্কে নিস্তেজ হয়ে যান তিনি। নড়াচড়া করতে পারছেন না। ভাবছেন শ্বাসরোধ হয়ে মারা পড়বেন এখানে। কিছু সময় পাড় হওয়ার পরও তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। কিন্তু কিভাবে?
তখন বুঝতে পারেন তার মাথায় থাকা মজবুত টুপিটি এখনও আছে। যার ফলে তার চারপাশের কিছুটা জায়গা বালি ভরাট হতে পারেনি। একটা পকেটের মতো খালি জায়গা তৈরি হয়েছে। যাতে বাতাস চলাচল করায় শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে তার। এভাবে ৩০ মিনিট থাকার পর একসময় কিছু একটার শব্দ শুনতে পান তিনি। ধীরে ধীরে আরো স্পষ্ট হয় তা। এবং এক সময় তার কাছাকাছিই চলে আসে শব্দটি। বুঝতে পারেন তাকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে। অবশেষে পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায়ই গর্ত থেকে বের হন তিনি। মৃত্যুকে এতো কাছ থেকে এর আগে কখনও দেখেননি তিনি।
উদ্ধারকর্মী শিমিং লিয়াং বলেন, জিওংকে উদ্ধারের সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে। আমরা যখন তার মাথা পর্যন্ত পৌঁছালাম তখন সাবধানে কাজ করতে হয়েছে। কারণ একটু নড়চড় হলেই চারদিকের বালুর স্তুপ তার মুখে পড়বে।
উদ্ধারকর্মীরা যখন রশিটি তার কাছে পৌঁছে দেন তখন অন্যান্যরা কোদাল দিয়ে চারদিকের বালি সরাতে থাকেন।
অগ্নিনির্বাপক বিভাগের মুখপাত্র চুং পাং বলেন, অনেক যত্নসহকারে আমাদের কাজটি করতে হয়েছে। যেন বালুর স্তুপ ভেঙে না পড়ে। বালু একপাশ দিয়ে বের করে আনার কারণে তাকে বের করে আনা সহজ হয়েছে। খুবই উত্তেজনাপূর্ণ সময় কেটেছে আমাদের।
উদ্ধারের পর মিংমি জিওংকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দুই একটা অাঁচড় ছাড়া তেমন কোনো ব্যথা পাননি তিনি। এক রাত হাসপাতালে কাটানোর পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।