ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৯ তম প্রতিবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটির সভাপতি আতিকুর রহমান বলেছেন, শিবির তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আদর্শকে যথাযথভাবে লালন করে পথ চলছে। ছাত্র সমাজের মেধা-মননের বিকাশের লক্ষ্যে সবসময় যুগোপযোগী কর্মসূচি নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৩৯ বছরের পথ পরিক্রমায় শিবির তার গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ছাত্র সমাজের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এ সময় সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিম উদ্দিন ও আব্দুল জব্বারসহ কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আতিকুর রহমান বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রশিবিরের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৭৭ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে পথচলা শুরু করে একে একে ৩৯টি বছর পেছনে ফেলে এ সংগঠন রচনা করেছে এক গৌরবময় ইতিহাস। একটি গঠনমূলক গতিশীল সংগঠন হিসেবে, একটি একক ও অনন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে, মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে ছাত্রশিবির জনতার মনে, লাখো তরুণের হৃদয়ে করে নিয়েছে তার স্থায়ী আসন। কালের বিবর্তনে আজ যার ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে দেশের লাখ লাখ মেধাবী ও মুক্তিকামী ছাত্র-তরুণ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি: ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল থেকে সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছাত্রশিবির। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সারা দেশে শাখা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্ণাঢ্য র্যালি; আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; রচনা, কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা; মেধাবী ও গরীব অসহায় ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ; পঙ্গু মেধাবী ছাত্রদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ; অনাথ ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ; শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ; মেধাবী ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ; ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন; পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এ কর্মসূচি চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শিবির সভাপতি কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরের নেতা কর্মীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের চর্চার লক্ষেই এ দেশের ছাত্র রাজনীতিতে শিবিরের আবির্ভাব। শিবির তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আদর্শকে যথাযথভাবে লালন করে পথ চলার চেষ্টা করছে। তবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ করে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন এবং খুন-জখমের টার্গেটে পরিণত হয় শিবিরের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়িতে থাকা মা-বোনেরাও। শিক্ষাঙ্গনের পবিত্র পরিবেশ নস্যাতের লক্ষ্যে তাদের ছাত্রসংগঠন রক্তপিপাসু ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে তারা। শিবির সভাপতি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যে নৈতিক দৃঢ়তা নিয়ে আমরা পথ চলি তা অব্যাহত থাকবে। অন্যায়-অপকর্ম প্রতিরোধ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই শিবিরের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।