একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায় প্রকাশে পর জামায়াত-শিবির কর্মীরা দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, জামায়ত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির রায়ের পর তা ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াত-শিবির। শেষ মরণ কামড় দিয়ে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে বাঁচানো গেলে দলের জন্য অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২ অক্টোবর একাত্তরের খুনি বাহিনী আলবদর নেতার নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরআগে ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। গত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।
এর আগে জামায়াতের নায়েব আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায়কে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছিল জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য করেছিল তারা। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুজাহিদের রায়কে কেন্দ্র করে সেরকম একটি পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তারা।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তারা চুপ করে থাকবে এটা হতে পারে না। রায়কে কেন্দ্র করে দেশ তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’