ঢাকাঃ সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। রমজানে বিভিন্ন ধরনের সাস্থ্যকর টিপস নিয়ে আমরা আছি আপনাদের সাথে। রমজানে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের খাবার তেলের ভাজা পোড়া খাবার, আবার অনেকের পছন্দ ফলমূল সবজি জাতীয় খাবার। আর অনেকে সাধারণ খাবার দিয়েই সেরে ফেলেন ইফতার। গরীবেরা ইফতার করেন সামনে যা পান তা দিয়েই, আর কেউ কেউ ইফতার করেন আগের দিনের কুরানো বাসী ইফতার দিয়ে।
রমজানের রোজা ইসলামের ৫ টি রোকনের মধ্যে তৃতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এঁর প্রতিদান দিবো। রোজা আল্লাহতায়ালার রহমত।
তাই এই মাসে খাবারের ব্যাপারে কোন বিধি নিষেধ নেই, তাই আমরা না বুঝে অনেক কিছুই খাই। তবে এই মাসে আমাদের খাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন হওয়া উচিৎ। তাতে আমরা অন্তত আরামদায়ক বোধ করবো।
রমজানে আমাদের পাকস্থলী সারাদিন ফাঁকা থাকার পর দিনশেষে ভারী খাবার খেলে তা আমাদের মেটাবোলিজম প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে, এতে করে আমরা অনেকেই অস্বস্থি বোধ করি। অনেকে হিসেব না করেই সমানে বেশি বেশি ইফতার খান এতে করে তারাবীর নামাজ পড়তে অনেকের অনীহা চলে আসে। সারাদিন রোযা রাখবেন আর তারাবীর নামাজ পরবেন না তা কি করে হয়।
তাই এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা আমাদের পাঁচন প্রক্রিয়া দ্রুত গ্রহন করে। যেমনঃ মৌসুমি ফল, খোরমা খেজুর, আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, তরমুজ, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, শসা, গাজর, ইত্যাদি।
বিরত থাকবেন যেসব খাবার থেকেঃ অতিরিক্ত তৈলযুক্ত খাবার, ভাঁজাপোড়া খাবার যেমনঃ পেয়াজু, বেগুনী, পুড়ি, অতিরিক্ত তৈলযুক্ত ছোলা,(কমতেলে রাঁধা ভাল), মোগলাই পরাটা, মুরগি, গরু, খাসীর রোষ্ট, এছাড়াও অনান্য ভাঁজা পোড়া যা খেলে পেটে গ্যাস হবার সম্ভবনা থাকে।
বোতলজাত জুস, কোমল পানীয় খাবেন না, বাসায় জুস বানিয়ে খাবেন। লেবুর শরবত, বেলের শরবত, পেপের জুস, মাল্টা বা কমলার শরবত, ইসুফ গুলের ভুসির শরবত বেশি বেশি খাবেন।