ঢাকা: হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজার হাত থেকে মাথা আড়াল করা যায় ছাতা দিয়ে। অপরদিকে জামাকাপড় ভিজে যায় প্রায়ই। সেই ভেজা জামা নিয়ে অনেক সময় অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কাপড়ের রং বদলে যায়, পড়ে যায় কালো তিল। আর তখনই পছন্দের জামাটি পরার অনুপযুক্ত হয়ে যায়। এসব ঝামেলা এড়াতে পরনের কাপড় হওয়া চাই একটু বাছাই করা।
সুতির কাপড় বেশি আরামদায়ক হলেও বৃষ্টির দিনে তা এড়িয়ে চলা ভালো। পরতে পারেন জর্জেট, সিল্ক ধরনের সিনথেটিক কাপড়। এই আবহাওয়াই বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে। তাই আরামদায়ক হলেও একরঙা সুতি কাপড় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বেশি। সেক্ষেত্রে সুতি কাপড় যদি পরতেই হয়, প্রিন্টের কাপড় পরতে পারেন।
এই ঋতুতে হালকা সিল্ক, সিফন, জর্জেট ইত্যাদি কাপড়ই বেশি সহনশীল। পরনে থাকা অবস্থায় কাপড় ভিজে গেলেও বোঝা যাবে না। আবার তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে। দ্রুত শুকিয়ে গেলে আপনার সর্দি জ্বর হওয়াকে ঠেকাবে। বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা-ঘাট কাদা হয়ে যায়। সেই কাদা ছিটে পোশাকে লাগলেও দাগ হয়ে যেতে পারে। সিনথেটিক কাপড় এসব দাগ হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
যারা শাড়ি পরতে অভস্ত তারাও বেছে নিতে পারেন পাতলা সিল্ক বা জর্জেটের শাড়ি। এসময় বেশি লং কামিজ না পরে একটু শর্ট টপস, ফতুয়া বা কুর্তা পরলে ঝামেলার অনেকটাই কমে যাবে। বর্ষার দিনের কাপড় হতে পারে যেকোনো উজ্জ্বল রংয়ের। ম্যাজেন্টা, বেগুনি, গাঢ় সবুজ বা কলাপাতা সবুজ, লাল, হলুদ রংগুলো দারুণ মানায়।
বৃষ্টির এই দিনে আপনার রুচিকে আগে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। তাই সব বিষয় মাথায় রেখে বেছে নিন পছন্দের পোশাকটি।