লন্ডন: কোনো হলিউড সিনেমার কাল্পনিক গল্প নয়। মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে তিলে তিলে বাস্তবকে জয় করে আজ তিনি সবচেয়ে ‘দামী’ নারী।
২০০৭ ইরাকে এক বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ৩০ বছর বয়সী হানা ক্যাম্পবেল। বসরা শহরে একটি বিল্ডিংয়ে গার্ড দিচ্ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। দুই টুকরো হয়ে যায় বাম হাত। বাম পা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। নষ্ট হয়ে যায় ক্যাম্পবেলের যকৃত, গর্ভাশয়। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক। মৃত্যু অপেক্ষা করছে তাকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু ক্যাম্পবেল হাঁটা দিল উল্টোদিকে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্যের হাত ধরে ফিরে আসেন স্বাভাবিক জগতে। ক্যাম্পবেলের ভাষায়, ‘ডাক্তারের আন্তরিক সেবায় আমি নতুনভাবে জীবন ফিরে পাই’।
তিনি শরীরের প্রায় সবকিছু পাল্টে ফেলেন। বিপুল ব্যয় করে তিনি হন সত্যিকারের ‘বায়োনিক নারী’। শরীরে গভীর ক্ষতস্থান পূরণ করতে ও নিজেকে আরো সুন্দর করে তুলতে তিনি খরচ করেন ৫২ হাজার ৫০০ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিনি অবশ্য তিন লাখ ৮০ হাজার ইউরো পেয়েছিলেন।
তিনি একটি প্রোসথেটিক পা লাগান। ত্বকের ক্ষতস্থানে বোটোক্স করেন। নানানরকম শরীরি নকশায় সুন্দর করে তোলেন নিজের জীবনকে। তিনি শুধু শরীরে ক্ষতস্থানেই চিকিৎসা করেননি। তার স্তনকে আরো বড় করেন। ক্ষতিগ্রস্ত গর্ভাশয় সারিয়ে আজ তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।
তার বাস্তব জীবনকাহিনী আমাদের অনেক হেরে যাওয়া জীবনকে অনুপ্রাণিত করবে, এমনটাই মনে করেন হানা ক্যাম্পবেল। সূত্র: ডেইলি মেইল।
Prev Post