মানব শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্ছে ঠোঁট। শারিরের প্রতিটি অংশের যত্ন নেয়া প্রতিটি সচেতন মানুষের দ্বায়িত্ব। মানুষের ঠোঁট অনেকের অনেক রকম। কারো কালো, কারো গোলাপি। প্রাকৃতিক রং হচ্ছে গোলাপী। আর এর প্রতি সবাই একটু বেশী আকর্ষন। নিয়মিতো যত্ন নিলে ঠোঁট গোলাপী করা যায়।
১.ঠোঁটের চমক বাড়াতে গোলাপের পাপড়িঁ বেটে এর মধ্যে গ্লিসারিন মিশিয়ে তা প্রতিদিন লাগালে ঠোঁট গোলাপের পাঁপরির মতো হয়। এতে ঠোঁটের চমক বেড়ে যায়। ঠোঁটে আঙুরের রস লাগালে ঠোঁট ফাঁটা বন্ধ হয়ে যায়। ঠোঁট গোলাপী করতে গোলাপের পাপরির রসের সাথে তুলষী পাতার রস মিশিয়ে লাগালে তা ভালো কাজে দেয়।
১। গোলাপের পাঁপড়ি পেস্ট করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট নরম ও গোলাপি হবে।
২। এক সপ্তাহ রাতে শোয়ার সময় নারকেল তেল, চন্দনবাটা ও গোলাপজল এক সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট নরম থাকবে।
৩। শসার রস ঠোটে লাগালেও উপকার পাবেন।
৪। ডালিম ফুল নিয়ে তা থেকে তার তেল বের করে নিন। এই তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।
৫। নরম, সুন্দর, মসৃণ ঠোঁট জন্য ভাল কোন লিপ বাম অবশ্যই ব্যাবহার করবেন। এটি আপনার ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা করবে ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
৬। বাইরে যাওয়ার আগে লিপস্টিক ব্যাবহার করতে ইচ্ছা করতেই পারে। নিয়মিত লিপস্টিকের ব্যাবহারে আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। তবে যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।সব সময় খেয়াল রাখবেন আপনার লিপস্টিক বা লিপগ্লস যেন ভাল ব্র্যান্ডের হয়। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েলবেসড লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো। তবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
৭। লিপস্টিক করার পূর্বে ঠোঁটে সামান্য পাউডার দিয়ে নিন।
৮। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব সময় আপনার ঠোঁটের লিপস্টিক বা লিপ গ্লস ক্লিন্সিং মিল্ক দিয়ে তুলে ফেলুন। এরপরে ভাল কোন লিপ বাম ব্যবহার করুন।
৯। ধুমপান ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে ও কালচে ভাব আনে।
সুন্দর ঠোঁটের জন্য শুরু কিছু সময় আর ঠিক ভাবে যত্ন নিলেই যথেষ্ট।