জেনে নিন জন্ম মাস অনুসারে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

0

spot01বিভিন্ন ঋতুতে জন্মানো গাছ যেমন বিভিন্ন চরিত্রের হয়, তেমনি বিভিন্ন মাসে জন্মানো মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্টেও থাকে ভিন্নতা। যেমন বসন্তে জন্মানো ফুলেরা রূপে ও সুবাসে থাকে একিরকম, তেমনি মার্চ কিংবা জুলাইয়ে জন্মানো মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্টেও থাকে অদ্ভুত মিল। তাই চলুন, জেনে নিই আপনার জন্ম মাসটি আপনার চরিত্র সম্পর্কে কী বলে।

জানুয়ারি : যারা জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের কঠোর পরিশ্রমী হতে দেখা যায়। অনেক বেশি মাত্রায় ক্যারিয়ার সচেতন হয়ে থাকেন তারা। অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং ভালো শ্রোতা এই মাসে জন্মগ্রহণকারীরা। প্রচন্ড পরিমাণে আবেগী ও অভিমানী হন। বদ অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে বদমেজাজ, জেদ ও একগুঁয়েমি। খুব বেশি সমালোচনা করতে পারেন এরা।

ফেব্রুয়ারি : খুব বেশি বুদ্ধিমান ও লাজুক প্রকৃতির হয়ে থাকেন ফেব্রুয়ারি মাসের মানুষজন। অনেক বেশি বাস্তববাদী ও বন্ধু তৈরিতে পারদর্শী হতে দেখা যায়। অনেক বেশি হাসিখুশি এবং প্রাণোচ্ছল হিসেবে সুনাম হয়েছে। কিছুটা কুঁড়ে প্রকৃতির হয়ে থাকেন এই মাসে জন্মানো মানুষগুলো। একটু কিপটেমিও দেখা যায় এদের মধ্যে। নিজেদের মিতব্যয়ী ভাবলেও আসলেই কিছুটা কিপটে প্রকৃতির হয়ে থাকেন এরা।

মার্চ : গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে দেখা যায় এই মাসে জন্মানো মানুষগুলোকে। বিশ্বস্ত ও সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন তারা। দারুণ প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকেন। অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন এই মানুষগুলো। অনেক বেশি গম্ভীর থাকেন এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন বলে কিছুটা ‘playful minded’ হয়ে থাকেন। নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে সকলকে আকর্ষণের চেষ্টা করেন সব সময়। এবং এরা মারাত্মক প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে থাকেন।

এপ্রিল : কর্মঠ এবং ডায়নামিক ব্যক্তিত্বের মানুষ হন এপ্রিল মাসে জন্মানো মানুষজন। খুব সহজে সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা থাকে তাদের মাঝে। অনেক বেশি সাহসী এবং দৃঢ় মানসিকতার মানুষ হতে দেখা যায় তাদেরকে। খুব বেশি মাত্রায় সকলের মনোযোগকামী হয়ে থাকেন এরা। নিজেদের বুদ্ধির বেশিরভাগটাই খাটিয়ে থাকেন এই কাজে এবং সব সময় সকলের দৃষ্টির মধ্যমণি হয়ে থাকতে চান তারা।

মে  : খুব বেশি ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন। নিজের ইচ্ছা শক্তির গুণে সবসময় সফল হতে দেখা যায় মে মাসে জন্মানো মানুষগুলোকে। সৃজনশীল কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তারা। ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। খুব সহজে রেগে যান এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে একেবারেই অপারদর্শী। মাঝে মাঝে নিজের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং সমস্যায় পড়ে যান।

জুন : অনেক বেশি দূরদর্শী হয়ে থাকেন জুন মাসে জন্মানো মানুষজন। সব কিছু খুব ভালো করে ভেবে চিনতে করতে পছন্দ করেন। অনেক ভেবে চিনতে কাজ করেন। হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করেন এবং বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন। খুব সহজে বিরক্ত হয়ে যান কোনো কিছুর ওপর এবং আবেগ খুব বেশি মাত্রায় ওঠা নামা করতে থাকে। অনেক বেশি সময় লাগে নিজের কষ্টটাকে ভুলতে। অনেক জেদি প্রকৃতির হয়ে থাকেন এরা।

জুলাই : অনেক হাসিখুশি মানুষ হন জুলাই মাসে জন্মগ্রহণকারী মানুষগুলো। সেই সাথে প্রচন্ড মাত্রায় আবেগী। নিজের কষ্টটা লুকিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করেন। এমন কিছু করতে চান সবসময় যে কাজে নিজেকে অনেক গর্বিত ভাবতে পারেন। মোটেও প্রতিশোধ পরায়ণ নন। বরং বেশ কোমল হৃদয়ের মানুষ হয়ে থাকেন। খুব বেশি অতীতমুখী এবং নিজেরাই নিজেদের কষ্টের জন্য দায়ী থাকেন। কিছু কিছু মানুষ মুডি হয়ে থাকেন। তবে তা শুধুমাত্রই আবেগের কারণে। কারো কাছ থেকে কষ্ট পেলে তা কখনোই ভোলেন না।

আগস্ট : সর্বদা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত থাকেন আগস্ট মাসে জন্মানো মানুষজন। অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাধীনচেতা মনোমানসিকতার হয়ে থাকেন। খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনে ও সৃজনশীল কাজে পারদর্শী। অনেক বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন তারা। খুব সহজে রেগে যান এবং প্রচন্ড বদমেজাজি হয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই ঈর্ষান্বিত হতে দেখা যায় এবং কিছুটা দু’মুখো স্বভাবের হয়ে থাকেন।

সেপ্টেম্বর : খুব কোমল হৃদয়ের এবং ঠান্ডা মাথার মানুষ হয়ে থাকেন সেপ্টেম্বরের মানুষেরা। অনেক বিশ্বস্ত এবং সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন। অনেক বেশি আবেগী হয়ে থাকেন কিন্তু প্রকাশ করতে চান না একেবারেই। অনেক ভেবে চিনতে কাজ করতে পছন্দ করেন। অনেক গম্ভীর থাকেন এবং মানুষের সাথে খুব বেশি মিশতে পারেন না। কিছুটা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগে থাকেন।

অক্টোবর : অনেক সাহসী এবং চ্যালেঞ্জিং মনমানসিকতার হয়ে থাকেন। কিছুটা গাম্ভীর্য নিজের মধ্যে ধরে রাখলেও ভেতরটা অনেক শিশুসুলভ হয়ে থাকে। ঘুরে বেড়াতে অনেক পছন্দ করেন এবং অনেক বেশি বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে থাকেন এই মাসের মানুষগুলো। অনেক বেশি মাত্রায় আবেগী এবং অভিমানী হয়ে থাকেন এরা। খুব সহজেই নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন।

নভেম্বর : কিছুটা দার্শনিক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। অনেক কিছুই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে থাকেন। দিবাস্বপ্নে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। অনেক কম কথা বলেন। সোজা কথার মানুষ, প্যাঁচের মানুষ নন একেবারেই। অন্যদের থেকে একেবারে আলাদা ধরণের চিন্তা করতে পছন্দ করেন। অনেক বেশি ভাগ্যে বিশ্বাসী এবং আলসে প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এদের মনমানসিকতা একেবারেই বোঝা যায় না। অনেক কঠিন মনে হয় মানুষ হিসেবে।

ডিসেম্বর : অনেক বিশ্বস্ত এবং হাসিখুশি মানুষ হয়ে থাকেন। অনেক বেশি ভালবাসতে পারেন নিজের মানুষগুলোকে। মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে বেশ পছন্দ করেন। অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন। এবং তারা এক কথার মানুষ। খুব দ্রুত মুড চেঞ্জ হয়ে যায়। হুটহাট মেজাজ করতে দেখা যায়। যদি কাউকে অপছন্দ করেন তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More