নারী-পুরুষ সবার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে চাইলে সবারই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কিন্তু নারীরা সাধারণত কেন জানি খাবারের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে থাকে যা মোটেই ঠিক নয়। তা সত্ত্বেও তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। নিচে নারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো :
তিসি : তিসির বীজ একটি পুষ্টিকর খাবার। বাজারে তিসির তেলও পাওয়া যায়। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে। এটি স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করতে সহায়ক। এছাড়া তিসি আথ্রাইটিস ও পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
মাছ : ওমেগা থ্রিযুক্ত মাছ নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো। স্যামনসহ বেশ কিছু সামুদ্রিক মাছে এটি পাওয়া যায়। নারীদের প্রচুর মাছ খাওয়া উচিত স্বাস্থ্যগত ঘাটতি পূরণের জন্য।
পালংশাক : পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও ম্যঅগনেসিয়াম। ভিটামিন দেহের বহু ঘাটতি দূর করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম নানা শারীরিক সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম যেসব সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ফুলে যাওয়া, স্তনের সমস্যা, রক্তপাত ও ওজন বৃদ্ধি।
বাদাম : আখরোট বাদাম নারীদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদামে রয়েছে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান। এসব উপাদান নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
যব : যবে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং এটি নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটি হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে এবং হজমে উপকার করে। এছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন বি৬ সরবরাহ করে। পাশাপাশি এতে রয়েরেছফলিক এসিড, যা গর্ভবতী নারীর ও গর্ভস্থ শিশুর জটিলতা দূর করে। যব থেকে কেক, রুটি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।
দুধ : দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও অন্য বহু পুষ্টি উপাদান। এটি যে কোনো বয়সের নারীর জন্যই প্রয়োজনীয়। দুধের ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বহু সমস্যা দূর করে।
টমেটো : টমেটোতে রয়েছে বহু ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান। টমেটোর একটি উপাদানের নাম লাইকোপেন। এটি স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়া টমেটোর উপাদান হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে।