বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যেসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা আবশ্যক

0

????????????????????????????????অর্থের যথাযথ ব্যবহারঃ লাইফের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ দরকার হয়। একটা ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবারই অর্থের প্রয়োজন। তাই বাবা মা হিসেবে উচিত আপনার শিশুকে ছোট থেকেই অর্থের সঠিক ব্যাবহার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। আপনার সমর্থ থাকলেই আপনার শিশুর হাতে অতিরিক্ত অর্থ দিবেন না কারন পরবর্তীতে সে আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। যথাসম্ভব শিশুকে অর্থ উপার্জনের উপায় এবং যথাযথ ব্যাবহার শিক্ষা দিতে হবে।

নিয়মানুবর্তিতাঃ ডিসিপ্লিন হলো একটা শিশুর লাইফে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বাবা মা হিসেবে ডিসিপ্লিন নিয়ে কখনোই ছাড় দেয়া ঠিক না। একবার সে অবাধ্য হয়ে গেলে বারবার একই কাজ করার চেষ্টা করবে। কথা না শুনলে ছোটখাট শাস্তি দিন।

চাপ প্রয়োগ না করাঃ আপনার শিশুর রেজাল্ট ভালো খারাপ যাই হোক না কেন সবসময় খুব সহজভাবে মেনে নিবার চেষ্টা করবেন। আপনার শিশু ক্লাসে প্রথম হলে অবশ্যই তাকে কিছু সারপ্রাইজ দিন। এতে আপনার শিশুর পরবর্তী পদক্ষেপে প্রচেষ্টা আরো বেড়ে যাবে। তবে ক্লাসে রেজাল্ট খারাপ হলে উৎসাহ দিন পরবর্তীতে ভালো করার। কখনোই হার্ট করে কথা বলবেন না। এটা শিশুকে মানসিক চাপে ফেলে দেয়। আমাদের দেশের ৬০% বাবা মা এই ভুলটা করে যেটা আপনার ছোট্ট শিশুর সাথে কখনোই করা উচিত না।

সত্য বলার অভ্যেস গরে তোলাঃ শিশুরা প্রায়শই মিথ্যার আশ্রয় নেয় বাবা মা’র শাস্তির ভয়ে। ছোট থেকেই সত্য বলার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। একবার ছোট বেলায় এই অভ্যেস টা তৈরি করে দিতে পারলে আজীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সে সত্য বললেও এমনভাবে উত্তর দিবেন যেন সে বুঝে মিথ্যা বলাটা কতোটা খারাপ এবং একবার মিথ্যেবাদী প্রমান হলে ভবিষ্যতে আর কেউ তাকে বিলিভ করবে না। এসব ছোট খাট ব্যাপার আপনার শিশুর মাথায় সেট করে দিন।

অন্যের দুঃখ কষ্ট উপলব্ধি করাঃ আপনার শিশু যেন মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে ব্যাথিত হয় সে ব্যাপারে শিক্ষা দিন। একটা অসহায় মানুষকে হেল্প করার মাঝে যে সুখ সেটাকে তার ভিতরে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার সন্তান ছোট বেলায় সব থেকে আপনাকে বেশি ফলো করে সেহেতু তার সামনে সবসময় ভালো ভালো কাজ করবেন এবং তাকেও করতে উৎসাহী করবেন।

আত্মসমালোচনাঃ অন্যের মধ্যে খারাপ দিক খোঁজার আগে অবশ্যই আপনার শিশু যেন নিজের খারাপ দিকগুলো ফিল করতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষা দিতে হবে। তার খারাপ দিকগুলো সবসময় তার কাছে তুলে ধরতে হবে এবং সাথে ভালো একটা সমাধান দিতে হবে।

ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলাঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেটা যতই খারাপ হোক। নিজের ভুল না দেখে যেন অন্যের উপর ব্লেম না দেয় সে ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন ভুলটা যেন আপনার শিশু নিজেই অনুধাবন করে।

নিজে থেকেই সমস্যা সমাধান করতে দেয়াঃ আপনার শিশুর সমস্যাগুলো তাকেই সমাধান করতে দিন। আপনি তার সমস্যার সমাধানে কখনোই আগ্রহ দেখাবেন না। যেমন সে স্কুলে হোম ওয়ার্ক করবে। সেটা নিজেকেই তৈরি করতে দিন অথবা হোম ওয়ার্ক জমা না দেয়ায় তাকে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। সেটাও আপনার শিশুকেই প্রস্তুত করতে দিন। এতে আপনার শিশু সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হতে শিখবে।

সময়জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমঃ সময়জ্ঞান এবং কঠোর পরিশ্রম এই দুটো হচ্ছে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চারা কাগুজে বইয়ে এগুলো সম্পর্কে পড়ে ঠিকই তবে হাতে কলে শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে বাচ্চার অভিবাবক হিসেবে। বিভিন্নভাবে তাকে কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহী করা এবং সাকসেস হলে যথাযথ পুরষ্কার দেয়া।

সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাষ স্থাপনে উৎসাহী করাঃ ছোট বয়সে আপনার শিশুর মন সব থেকে বেশি কোমল থাকে। এই সময়টাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাষ স্থাপনের উপযুক্ত সময়। এতে আপনার শিশু আপনা থেকেই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে সৃষ্টিকর্তার ভয়ে। তাই সময় পেলে আপনার শিশুকে ধর্ম সম্পর্কে ধারনা দিন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More