কী ভাবছেন? আপনার প্রেমিক মানুষটিও আবার সাইকোপ্যাথ ধরণের না তো? এমন সন্দেহ যদি হয়ে থাকে, তবে একটা ছোট কৌশল আছে যা ব্যবহার করে নিজের সন্দেহ ঠিক না বেঠিক তা যাচাই করে নিতে পারেন আপনিও।
প্রেমিক সাইকোপ্যাথ কি না তা বোঝার বেশ কিছু উপায় আছে। তিনি কথায় কথায় মিথ্যা বলবেন, বিশাল ইগো থাকবে তার, এর পাশাপাশি তিনি হবেন বেখেয়ালি। কিন্তু এই ধারণা করার আরেকটি কৌশল আছে, তা হলো হাই তোলা।
ঘুম পেলে বা ক্লান্ত হলে মানুষ হাই তুলবেই। মানুষ কিন্তু অন্যের হাই তোলা দেখে নিজেও হাই তোলে। আপনি যদি দেখেন আপনি বার বার হাই তুলছেন আর আপনার সঙ্গীটি একবারও হাই তুলছে না আপনাকে দেখে, তাহলে সন্দেহ করা যায় বটে।
টেক্সাসের বেইলর ইউনিভার্সিটির সাইকোলজিস্টরা দেখেন, মস্তিষ্ক বিকৃত, হৃদয়হীন সাইকোপ্যাথ মানুষেরা সাধারণত অন্যের হাই তোলা দেখে প্রভাবিত হন না। সাধারণ মানুষের মাঝে আবার এমন ছোঁয়াচে হাই তোলা দেখা যায়। অর্থাৎ আপনি একটি ভিড় বাসের মাঝে বারবার হাই তুলতে থাকলে দেখবেন আশেপাশে অনেকেই হাই তুলছে। এটা হলো এক ধরণের সমবেদনা প্রকাশ। মানুষ ছাড়াও কিছু প্রাণীর মাঝে এই অভ্যাস দেখা যায়। কিন্তু সাইকোপ্যাথ মানুষের মাঝে এমন সমবেদনা সমব্যথিতা অনুপস্থিত। তাদের মস্তিষ্কের সমব্যথী অংশটি ঠিকমতো কাজ করে না। এ কারণে তারা অন্যের দেখাদেখি হাই তোলেও না সাধারণত।
কিন্তু কেউ অন্যের দেখাদেখি হাই তুলছে না, এটা দেখে সাথে সাথেই শক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না যে তিনি সাইকোপ্যাথ। তবে সাইকোপ্যাথদের মন বুঝতে এই ব্যাপারটা গবেষকদের সাহায্য করছে বৈ কী।