ছেলেরা বরাবরই শরীরের যত্নের ব্যাপারে উদাসীন। সেই সাথে চুল ও ত্বকের ব্যাপারেও। সপ্তাহে ১ টি দিনও তেল দেয়া কিংবা শ্যাম্পু করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। কিন্তু এতে করে মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলের অনেক ক্ষতি হয়। যার ফলে চুল পড়া শুরু হয় যা শেষ পর্যায়ে টাকে গড়ায়। তাই ছেলেদের কিছু যত্ন নেয়া উচিৎ চুলের প্রতি এই টাক থেকে মুক্তি পেতে চাইলে।
অলিভ অয়েল, মধু ও দারুচিনির হেয়ার মাস্ক: চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এরপর এতে ১-২ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই হেয়ার মাস্ক চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ১৫-২০ মিনিট চুলে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোঁড়া মজবুত হবে এবং টাক পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।
মেহেদী এবং সরিষার তেলের হেয়ার মাস্কঃ এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে মেহেদী পাতা ১০০ গ্রাম এবং সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম। একটি প্যানে সরিষার তেল ঢেলে গরম হতে দিন। এরপর এতে মেহেদী পাতাগুলো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে তেল ঠাণ্ডা হতে দিন। মেহেদী পাতা ছেঁকে নিয়ে এই তেল চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ১ ঘণ্টা বাদে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। বেঁচে যাওয়া বাকি তেলটুকু বোতলে ভরে রেখে দিন। এই মাস্কটি প্রতিদিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
জবা ফুল ও লেবুর রসের হেয়ার মাস্কঃ ১ গ্লাস পানি একটি পাত্রে নিয়ে ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে এতে ২ টি জবাফুল দিয়ে ৩/৪ মিনিট আরও ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ঠাণ্ডা হতে দিন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে এলে ছেঁকে নিয়ে এতে কএয়ক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। চুল শ্যাম্পু করে ধোয়ার পর এই মিশ্রণটি যেখানে টাক পড়া শুরু করেছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। জবা ফুলের রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
নিমপাতার ব্যবহারঃ ৩/৪ গ্লাস পানি নিয়ে এতে ১০/১২ টি নিম পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন। এই পানি ঠাণ্ডা হলে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।