সিলেটের ওসমানীনগরে দেশে ফেরা একই পরিবারের ৫ ব্রিটিশ নাগরিকের ৪ জনই এখন পরপারে। সর্বশেষ মারা গেছেন হুসনে আরা বেগম (৪৫)। শুক্রবার বিকাল ৫টায় স্বামী সন্তানদের পাশে তাকেও দাফন করা হয়।nagad-300-250রহস্যজনক কারণে অজ্ঞান অবস্থায় বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল পুলিশ। উদ্ধারের পর এক এক করে চারজনই মারা যান। এই ট্যাজেডির পর ওই পরিবারের চারজনের মৃত্যুশোক নিয়ে বেঁচে আছেন শুধু সাদিকুল ইসলাম। অথচ সেই ট্র্যাজেডি এখনো রহস্যই থেকে গেছে।
শুক্রবার পারকুলস্থ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হুসনে আরা বেগমের জানাজায় সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানসহ স্থানীয় অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।প্রবাসী পরিবারে বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে সাদিকুল ইসলাম মায়ের জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই। জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধিরারাই গ্রামে স্বামী সন্তানদের পাশে হুসনে আরা বেগমের লাশ দাফন করা হয়।এর আগে ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হুসনে আরা বেগম।উলেখ্য, গত ১২ জুলাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম পরিবারের ৫ সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ঢাকায় এক সপ্তাহ অবস্থানের পর ১৮ জুলাই তারা সিলেটের তাজপুর স্কুল রোডের বাসায় উঠেন।
২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।সকালে ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নাম্বারে ফোন দেন রফিকুলের শ্যালক দিলওয়ার। দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় ৫ প্রবাসীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।