সিলেটের ওসমানীনগরে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে একটি অটোরিকশা মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এমাদ আহমদ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেট ঢাকা-মহাসড়কের সোয়ারগাঁও এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তিনি দয়ামীর বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং কাউয়ারাই গ্রামের সোরাব আলী মাস্টারের ছেলে। দুর্ঘটনার পরপর বিক্ষুব্ধ জনতা হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুরুয়া এলাকায় প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালনকালে অটোরিকশা আটক করছিল হাইওয়ে পুলিশ। এ সময় একটি অটোরিকশা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহী এমাদকে ধাক্কা দিলে তিনি মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। তখন পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর স্থানীয় জনতা হাইওয়ে পুলিশের দুই সদস্যকে গণপিটুনি দিলে এসআই আবদুল করিম আহত হন। এ সময় প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত আবদুল করিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই সুজিত চক্রবর্তী।
ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়ায় একটি অটোরিকশা পালিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আবদুল কবির জানান, দায়িত্ব পালনকালে একটি অটোরিকশা পালিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়েন। এ সময় একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে তিনি মারা যান।
বিক্ষুব্ধ জনতা একজন এসআইকে মারধর করেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।
jugantor