হলুদের যত গুণ

0

tarmaric-1রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদান হল হলুদ। হলুদ ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। হলুদ কি শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার হয়? হলুদের আছে আরও অনেক গুণ। নিয়মিত হলুদ খাওয়া গেলে শরীরের অনেকগুলো উপকার হয়। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন মাত্র আধা চামচ হলুদ খেলে আপনার দেহ পায় যে দারুণ উপকারিতাগুলো।

১। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে ভালো রাখে –
বিডিএনএফ হরমোন অথবা ব্রেন-ডিরাইভড নিউরোট্রোপি মস্তিষ্কে নিউরোনের ভাগ এবং সংখ্যা বৃদ্ধিতে কাজ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। যদি খাদ্যতালিকায় হলুদ turmeric থাকে, এই হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এবং এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে, স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।

২। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট –
হলুদের রয়েছে কারকিউমিন,যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। এটি ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিকেলস শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ফ্রি রেডিকেলসের মাত্রা কম থাকা শরীরের জন্য ভালো।
৩। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় –
রক্তনালীর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হলুদ turmeric রক্তনালীর কার্যক্রম সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪। স্মৃতিভ্রম রোগ রোধ করে –
বার বার ভুলে যাচ্ছেন? সহজে কিছু মনে করতে পারছেন না। তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখুন। এটি প্রদাহ কমিয়ে স্মৃতিভ্রম রোধে সাহায্য করে।

৫। ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে –
ক্যানসারের মত জটিল রোগ রোধ করতে হলুদ অনেক বেশি কার্যকরী। ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধে হলুদ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি মুখগহ্ববরের ক্যানসার রোধ করে থাকে।

৬। বিষণ্ণতা দূর করে –
অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই মন বিষণ্ণ হয়ে যায়। এই বিষণ্ণতা দূর করে মনকে আবার সতেজ করতে হলুদের জুড়ি নাই। গবেষণায় বলা হয়, কারকুমিন বিভিন্ন ধরনের বিষণ্ণতা দূর করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

*কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।
*সামান্য একটু কাচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।
*হলুদের গুড়োর সাথে শশার রস অথবা লেবুস রস মিশিয়ে লাগান।১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কতটা মসৃণ লাগে।
*হলুদ বেটে সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন।এতে ত্বকে আসবে কোমলতা।
*অল্প একটু দুধের ক্রিমের সাথে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক হবে কোমল,মসৃণ আর সতেজ।
*হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষতস্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।
*দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।
*ব্রণের সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিমপাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাকটি নরম করে নিন এবং পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।
*কাঁচা হলুদ, মশুরীর ডাল একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

মনে রাখবেন হলুদ দিয়ে কখনো রোদে বের হবেন না। তাহলে ত্বক পুড়ে যাবে। হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনই দিনের বেলা নয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More