নতুনদের ভেতর এগিয়ে থাকা নায়কদের ভেতর সবচেয়ে এগিয়ে আছেন যিনি তিনি বাপ্পি চৌধুরী। সম্প্রতি বিডিস্টারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুদীপ্ত।
ডিজিটাল সিনেমা ভালোবাসার রঙ দিয়ে যাত্রা শুরু করা বাপ্পি চৌধুরী এখন ডিজিটাল যুগের জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হয়েছেন।বাপ্পি সম্প্রতি সাফিউদ্দীন সাফি পরিচালিত হানিমুন ছবিতে অভিনয় করছেন।এছাড়া বাপ্পির হাতে রয়েছে আরো বেশ কিছু ছবি। বাপ্পির সাম্প্রতিক খবর জানতেই এক সন্ধ্যায় তার মুখোমুখি হয়েছিলো বিডিস্টার।Â
প্রথমে জানতে চেয়েছিলাম হানিমুন নিয়ে।বাপ্পি বলেন, হানিমুন একটি রোমান্টিক ছবি। নাম দেখেই তা বুঝতে পারছেন যে, এটা একটা রোমান্টিক মুভি। এই ছবির অভিনয় করতে গিয়ে আমরা অনেক মজা করেছি।ছবিটি বেশ ভালো একটা ছবি হবে।এর বাইরে আর বলতে চাইনা।
এদিকে মোহাম্মদ হোসেনের আইডোন্ট কেয়ারে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন ববি। সামাজিক একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। এতে বাপ্পিকে নিপুনের ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। এছাড়া বাপ্পি অভিনয় করছেন ইফতেখার চৌধুরীর ওয়ান ওয়ে, লাভ এক্সপ্রেসসহ আরো অনেকগুলো ছবিতে।
নারায়নগঞ্জের ছেলে বাপ্পি চৌধুরী। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া বাপ্পির দিনকাল বেশ ভালোই কাটছিলো। পড়ালেখা, বন্ধুসঙ্গ, আড্ডা আর দুষ্টমী। ইচ্ছে ছিলো পড়ালেখা শেষ করে একজন বড় ব্যবসায়ী হবেন। কিন্তু তা আর হলো না। হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর নায়ক। পাল্টে যেতে হলো চিরাচরিত বাপ্পিকে। একদিকে যেমন সেলিব্রেটি হয়ে উঠছেন সবাই চিনছে বাপ্পিকে। অপরদিকে কেমন যেন চেনা গন্ডি থেকে বাইরে চলে যাচ্ছেন।এখন আর ইচ্ছে হলেই আগের মতো গলির মোড়ে দাড়িয়ে আড্ডা দিতে পারেন না বাপ্পি। অপরিচিত মেয়েদের সাথে টাঙ্কি মারার দিনও শেষ। কারণ অপরিচিত মেয়েরা বাপ্পির অপরিচিত হলেও বাপ্পি তাদের পরিচিত। ফলে সেই দিন আর ফিরে আসবে না বাপ্পির।
বন্ধু আড্ডা আর টাঙ্কি মারার গল্পের কথা জানতে চাইতেই হাসিতে ভালোবাসার রঙ ছড়িয়ে দিয়ে বললেন, নারে ভাই এখন আর সেই দিন নাই। বন্ধুদের সাথে তেমন দেখা করার সুযোগও পাই না। ব্যস্ততার কারণে নারায়ণগঞ্জে তেমন যাওয়া হয় না। আর গেলেও আগের মতো আর শর্টপ্যান্ট পরে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে থেকে আড্ডা দিতে পারি না। রাতের বেলাতেও এটা এখন আর সম্ভব হয় না। লোকজন কেমন যেন চিনে ফেলে।
শৈশব কৈশোরের দুষ্ট বাপ্পির এখন ধ্যানজ্ঞান শুধু চলচ্চিত্রকেই ঘিরে। বাপ্পি বলেন, বলতে পারেন এখন আমার স্বপ্নের পুরো জগৎ জুড়ে শুধু চলচ্চিত্র আর চলচ্চিত্র। নিজেকে কিভাবে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করবো, কিভাবে আরো ভাল অভিনয় করতে পারবো সেই চিন্তায় বিভোর থাকি সারাক্ষণ।
রুপালি পর্দার রঙিন তারকা বাপ্পির মনের রঙিন পর্দায় কার ছবি? প্রশ্ন করতেই হাসলেন বাপ্পি বললেন, বলবো, তবে পরে। আপাতত চলচ্চিত্রের প্রেমেই মশগুল থাকতে চাই।