[ads1]বিশেষ প্রতিবেদক: মাত্রাতিরিক্ত সরবরাহের কারণে বাজাওে পেঁয়াজের দাম সর্বনিম্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৪-১৫ টাকায়। আর বর্ষায় ভিজে যাওয়া নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ৫-৬ টাকায়। ইতিমধ্যে দেশের প্রধানতম ভোগপণ্যেও পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়তে প্রায় ১০ হাজার টন পেঁয়াজ পচনের পথে। মূলত ভারতের বাজারে পেঁয়াজের কম দাম এবং রমজানের শুরুতে চাহিদা বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তাতে প্রতিটি আড়তে পণ্যটির মজুদ বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই পরিমাণ চাহিদা না থাকায় বেশির ভাগ আড়তে পেঁয়াজ অবিক্রিত থেকে যায়। তাছাড়া অবিক্রিত পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছানোর সময় বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় এখন পচন ধরেছে। ফলে ওসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি মাত্র ৫-৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিভিন্ন মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে। তার মধ্যে ভালো মানের প্রতি কেজি নাসিক জাতের পেঁয়াজ ১৩-১৫ টাকায় বিক্রি হলেও একই জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০-১২ টাকায়। কানপুরী জাতের ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২-১৩ টাকায়। আর একই জাতের দাগি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬-৭ টাকায়। ভারতীয় অন্যান্য পেঁয়াজের মধ্যে প্রতি কেজি পাটনা জাতের ভালো পেঁয়াজ ১০-১২ ও দাগি পেঁয়াজ ৬-৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে কম দামে অর্থাৎ মাত্র ৫-১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় সুখ সাগর পেঁয়াজ।[ads2]
সূত্র জানায়, তিন-চার মাস ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী। তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে পণ্যটির দাম বছরের সর্বনিম্নে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক বাজার তথা ভারতে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছেন। তাতে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে পণ্যটির দাম কমে গেছে। তাছাড়া গত সপ্তাহে আমদানিকৃত পেঁয়াজের অর্ধেকের বেশিই বৃষ্টিতে ভিজে যায়। বৃষ্টিতে ভেজা এ পেঁয়াজ দ্রুত পচে যাচ্ছে। তাই পণ্যটি কেজিপ্রতি মাত্র ৪-৫ টাকা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই পরিমাণ পণ্য আমদানিতে খরচ হয়েছে কমপে ১৫-১৮ টাকা।
সূত্র আরো জানায়, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারগুলোতে তার খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। বরং বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২০ টাকায়। তবে ভালো মানের একই পরিমাণ পণ্য ২৫-৩০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। তবে সুপার শপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- পাইকারির বাজারে যেসব পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হচ্ছে তার মান ভালো নয়। সুপার শপগুলো অভিজাত বাজার হিসেবে সবচেয়ে ভালো পণ্যটি সরবরাহ করতে হয়। তাছাড়া পরিবহনসহ সব মিলিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১৬-১৮ টাকা খরচ হয়। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে ২৫ টাকায়।[ads1]
এ প্রসঙ্গে খাতুনগঞ্জের সৌমিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন জানান, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় অবিক্রিত পেঁয়াজের পরিমাণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ ট্রাক পণ্য খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করলেও সে তুলনায় বিক্রি না হওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।