১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে (বিপ্লবী সরকার) অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলির একমাত্র জীবীত সদস্য
প্রবীন রাজনীতিক ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ “স্বাধীনতা পদক- ২০১৫” গ্রহন করবেননা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন। বুধবার ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই পদক না নেয়ার ঘোষনা দেন। সরকার আগামী ২৬মার্চ স্বাধীনতা দিবসের “স্বাধীনতা পদক- ২০১৫” প্রাপ্তদের তালিকায় ৮জনকে মনোনীত করেন। ওই তালিকায় ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদের নামও তালিকা ভূক্ত করা হয়। আগামী ২৫মার্চ ওসমানী মিলনায়তনে ৮জনকে ওই “স্বাধীনতা পদক- ২০১৫” দেয়ার কথা রয়েছে।
ন্যাপ প্রধান প্রবীন এ রাজনীতিক অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের বরাত দিয়ে ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন তার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সম্প্রতি আমাকে (অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ) “স্বাধীনতা পদক- ২০১৫” প্রাপ্তদের তালিকায় মনোনীত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে নানাহ কথা ছড়ানো হচ্ছে। পদক দিলে বা নিলেই সম্মানিত হয়,- এই দৃষ্টিভঙ্গীতে আমি বিশ্বাসী নই। মানুষ তার কর্মগুণে সম্মানিত হয়। নিছক দেশপ্রেম মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়েই আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম। কোন পদক বা পদ পদবী আমাকে কোনভাবেই উদ্বুদ্ধ করে নাই। নিতান্তই রাজনৈতিক কর্তব্যবোধে শত প্রতিকুল অবস্থা মোকাবেলা করে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।
সত্যিকার অর্থে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, জীবন উৎস্বর্গ করেছিলেন, তারা কেহই কোন প্রাপ্তির আশায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আমি সম্মানের সাথে ঘোষিত “স্বাধীনতা পদক- ২০১৫” গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করছি।
আমার স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তির বিষয়ে সকল পক্ষকে ধুম্রজাল সৃষ্টি না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।