[ads2]গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় সিসি টিভি বসানোর আগে রাতের বেলায় প্রায়ই কার রেসিং চলতো। বিরাজমান ছিল নানা ধরনের অসামাজিক উৎপাত। তবে এখন এই এলাকাসমূহকে সিসিটিভি সার্ভিলেন্সের আওতায় আনায় এগুলো বন্ধ হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।[ads1]
বেনজীর আহমেদ বলেন, স্বপ্ন না দেখতে শিখলে কিছুই সম্ভব হয় না। ২০১২ সালে আমরা এই এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢেকে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ তা বাস্তবায়নের পথে। এই প্রকল্প শুরুর প্রথমে মোট আড়াই কোটি টাকার পেয়েছিলাম। সাড়ে ৭ কোটি টাকার আশ্বাস পেয়েছিলাম। তাদের কারণেই এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তাঁর বক্তব্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসি এলাকা সমূহে সর্বাধুনিক কন্ট্রোলরুমসহ মোট ৩ হাজার সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ৬৪২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো ৩-১৬ মেগা পিক্সেল রেজুলেশনের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বলে ও তিনি জানিয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালনের চেষ্টা করছি।[ads2]
তিনি বলেন, গত এক বছরে আমি এবং উত্তরের মেয়র (আনিসুল হক) কতটুকু করতে পেরেছি জানি না। তবে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করছি। পরবর্তী ৪ বছরও করে যাবো। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, মেয়ররা যে যাই করুক না কেন, এই নগরী সবার। একে রক্ষার দায়িত্ব সব নাগরিকের। যেদিন এই নগরীর প্রতি নাগরিক এক একজন মেয়র হবে, মেয়রের দায়িত্ব নেবে, মেয়রের মতো চিন্তা করবে সেদিনই ঢাকা স্বপ্নের নগরীতে গড়ে উঠবে।