সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা নীতি ঘোষণা হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতি দ্রুতই বাঁক নিচ্ছে। ভিসা নীতিকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত একটি সফল সমাবেশ করে জানান দিলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। গত ডিসেম্বর থেকে বিএনপি একরকম প্রকাশ্যই জামায়াতকে বর্জন করে চলেছে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে জামায়াত যোগ দিতে চাইলেও বিএনপি নিষেধ করে। শুধু প্রকাশ্য সমাবেশ নয়, ঘরোয়া মিটিংগুলোতেও জামায়াতের সাথে সব রকম সম্পর্ক অস্বীকার করে বিএনপি।
জামায়াত এই বছরের শুরুর অন্তত দুই মাস বিএনপির সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিএনপি পাত্তা দেয় না জামায়াতকে। জামায়াতকে ব্রাত্য করে রাখার একটি অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি। এর নেপথ্যে কে বা কারা কাজ করছে তা বলা মুশকিল। তবে আমার জানা মতে ও বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে বিএনপির মধ্যে থাকা বামপন্থীরা মূলত এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দিয়ে তদস্থলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদকে কাছে টানার চেষ্টা করে। মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রচেষ্টার একজন গুরুত্বপূর্ণ হোতা বলে মনে করা হচ্ছে।
জামায়াতের ১০ জুনের সমাবেশ জামায়াতকে আবার রাজনীতির মূল ধারায় ফিরিয়ে আনে। জামায়াত আবারো প্রাসঙ্গিকতা পায়। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয়েই এই ফ্যাক্টর কাজে লাগাতে চাইছে। জামায়াত নিয়ে তাই মিডিয়া পাড়াতে হইচই পড়ে যায়। এই হইচই-এর মাঝে নতুন করে আলচনার জন্ম দেয় গণঅধিকার পরিষদ। সেখানে রেজা কিবরিয়া ও নূরুল হক নূরু পরস্পরকে বহিষ্কার করে।
এর নেপথ্যে কী?
এর নেপথ্যে বিএনপি। বিএনপি’র চাপে গণঅধিকার পরিষদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে বের করে দেওয়া হয়। প্রথমত রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগ থেকে আসা। দ্বিতীয়ত তিনি ডিজিএফআই-এর সোর্স মাসুদ করিমের সাথে সম্পৃক্ত। এই পর্যন্ত বিএনপি তাদের মধ্যেকার যারাই মাসুদ করিমের সাথে সম্পর্ক রেখেছে তাদের বহিষ্কার করেছে। সমমনা অর্থাৎ আওয়ামী বিরোধীদের মধ্যে যারা মাসুদ করিমের সাথে যুক্ত থেকেছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থেকেছে।
এর শুরুটা হয়েছে অলি আহমদ থেকে। ২০১৮ সালের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সরকার পতনের লক্ষ্যে বিদেশের মাটিতে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠানের খবর প্রকাশ পাচ্ছে। বিনা ভোটে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় তৎপর বিভিন্ন দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা এসব বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন। পত্র-পত্রিকায় অংশগ্রহণকারীদের নাম প্রকাশ পেলেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিদেশে এসব বৈঠক আয়োজনের নেপথ্য কারিগর হলেন মাসুদ করিম নামের লন্ডন প্রবাসী এক বাংলাদেশী। তার সাথে পশ্চিমা একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সখ্য রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়। তার আরেক নাম এনায়েত করিম। তিনি একসময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরে বিএনপি সরকারের আমলেই জেল খাটেন। একসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। মাসুদ করিমের সাথে নেপাল-থাইল্যান্ডে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদের একাধিক বৈঠক হওয়ার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ গঠন করে হঠাৎ তৎপর হয়েছিলেন অলি আহমেদ। এর নেপথ্যেও ছিল মাসুদ করিম। তিনি অলি আহমদসহ বিএনপির একাধিক নেতাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় পটপরিবর্তনের স্বপ্ন দেখান। মাসুদ করিম তাঁদের কাছে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী সংস্থার লোক বলে পরিচয় দেন।
মাসুদ করিমের নেপথ্য তৎপরতায় অলি আহমদ জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তখন মাসুদ করিমের সঙ্গে ব্যাংকক ও নেপালে একাধিক বৈঠকও করেন তিনি। ওই সব বৈঠকে বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের একাধিক নেতা অংশ নেন।
তার এই আন্দোলনের সময় জামায়াতকে তিনি তার সাথে নেন। জামায়াত যখন বুঝতে পারে এর ফান্ডিং বাইরে থেকে আসছে তখন জামায়াত সতর্ক হয় ও সরে আসে।
একপর্যায়ে অলি আহমদ নিজ দল এলডিপির কেন্দ্রীয় এক নেতার সঙ্গে মাসুদ করিমের পরিচয় করিয়ে দেন। ওই নেতা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী। অলি আহমদ তাঁকে বলেন, মাসুদ করিম প্রভাবশালী ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি শাখার সঙ্গে তাঁর সখ্য আছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য কিছু নির্দিষ্ট পোশাকের অর্ডার পেতে মাসুদ করিম তাঁকে সহায়তা করতে চান। কিন্তু এর জন্য আগে কারখানাকে তালিকাভুক্ত হতে হয়। জামানত হিসেবে জমা দিতে হয় এক লাখ মার্কিন ডলার। ওই ব্যবসায়ী এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। একপর্যায়ে মাসুদ করিম নিজে ৫০ হাজার ডলার দেবেন এবং বাকি ৫০ হাজার ডলার ওই ব্যবসায়ী থেকে নিয়ে তালিকাভুক্ত করানোর প্রস্তাব দেন।
তিনি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে অলি আহমদকে ৫০ হাজার ডলার সমপরিমাণ ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন। অলি আহমদ সেই টাকা মাসুদ করিমকে পাঠান। কিন্তু পোশাকের কোনো অর্ডার তিনি পাননি। পরে তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অলি আহমদকে চাপ দেন। একপর্যায়ে তিন চেকে টাকা ফেরত দেন অলি আহমদ। এ নিয়ে তিক্ততায় ওই ব্যবসায়ী এলডিপি ছেড়ে দেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ওই ঘটনার পর অলি আহমদ চুপসে গেছেন।
গত সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি যখন রাজনীতিতে পর্যুদস্ত, তখন ২০১৯ সালের জুনে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ গঠন করে অলি আহমদ মধ্যবর্তী নির্বাচন ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তোলেন। দুটি দাবিই বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু বক্তৃতা-বিবৃতিতে অলি আহমদ বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা শুরু করলে নেতারা সতর্ক হন। একপর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির মঞ্চের কর্মসূচি এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
মাসুদ করিম যখন দেখলো বিএনপি ও অলি আহমেদের সাথে সম্পর্কের তিক্ততা তৈরি হয়েছে তখন অলি আহমেদকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় মাসুদ করিম। এটাই ছিল মাসুদের এসাইনমেন্ট।
২০১৯ ও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় আচমকা দুটি বড় জমায়েত করা হয়। দুটি কর্মসূচিতে হঠাৎ রাস্তা অবরোধ করে কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভ শুরু করে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনের বিক্ষোভে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। গত ১৩ ডিসেম্বরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভের সুর ছিল সরকারের পতন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দুটি বিক্ষোভের সংগঠকেরা কর্মীদের ধারণা দিয়েছিলেন, এই বিক্ষোভে বিভিন্ন দিক থেকে লাখো মানুষ যুক্ত হবে। সেখান থেকেই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সূচনা হবে।
এই দুই কর্মসূচির পেছনে বিএনপির একাধিক নেতার যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এতে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপির সাবেক ধনাঢ্য এক নেতা। যিনি ২০১৯ সালের শেষ দিকে বিএনপি থেকে ইস্তফা দেন। এই দুই কর্মসূচির সঙ্গেও মাসুদ করিম এবং দেশের বাইরের একটি মহলের যুক্ততা ছিল বলে জানা যায়। এর রেশ ধরেই দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর সুত্র ধরে শওকত মাহমুদ এখন বহিষ্কৃত।
শওকত মাহমুদ বলেন, তিনি মাসুদ করিমকে চেনেন। মাসুদ করিম একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তাঁর ভালো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে। ঢাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ আয়োজনের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি বৈঠকে অংশ নেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাসেমী। তিনি গত জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন।
প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে মনির হোসেন কাসেমী বলেন, ‘আমি হুজুরের (প্রয়াত নূর হোসাইন কাসেমী) নির্দেশনায় ব্যাংককে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর এটাকে আমার কাছে কার্যকরী কিছু মনে হয়নি।’
রাজপথে যখন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ একবারেই দাঁড়াতে দিচ্ছিল না ঠিক তখন কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে কয়েক শ’ লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে আদালতসংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। নজিরবিহীনভাবে দায়িত্বরত পুলিশ নীরব ছিল।
একইভাবে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মোড়-মুক্তাঙ্গন এলাকায় সহস্রাধিক লোকের আকস্মিক অবস্থান গ্রহণ এবং সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৭ মার্চ পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক হাজার লোক দিনব্যাপী অবস্থান গ্রহণ করলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
হাইকমান্ডের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বিএনপির কিছু নেতা এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। অপর দিকে, হাই কমান্ড নিজস্ব দলীয় চ্যানেলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের এসব কর্মসূচি বর্জনের নির্দেশ দেয়। উল্লিখিত সব কর্মসূচিই ছিল মারমুখী। কিন্তু রহস্যের ব্যাপার হলো, পুলিশ একটি কর্মসূচিতেও বাধা দেয়নি, কাউকে গ্রেফতার কিংবা কারো বিরুদ্ধে মামলাও করেনি।
উল্লিখিত কঠোর কর্মসূচিগুলো সফলভাবে পালনের ফলে এক শ্রেণীর বিএনপি নেতা-কর্মীর মধ্যে সরকার পতন আন্দোলনের ব্যাপারে মূল নেতৃত্বের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ব্যাপারে সংশয় ও দোদুল্যমানতা দেখা দেয়। তবে দলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি পালনকারী বিএনপি নেতাদের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে হাইকমান্ড।
বিএনপি নেতৃত্বের দৃঢ়বিশ্বাস সরকার ও সরকারের সমর্থক গোষ্ঠী তাদের দূর থেকে মদদ দিচ্ছে। এই মহলটি দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে সংশয়, অবিশ্বাস ও বিভাজন সৃষ্টিতে তৎপর। এদের মূল লক্ষ্য সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন। তাই তারা কৌশলে সরকারের পক্ষ হয়ে সরকার হঠানোর নামে মূলত বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মাসুদ করিমের উদ্দেশ্য হলো, বিরোধী দলগুলো বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত করে মূলত সরকারের হাতকেই শক্তিশালী করা। এজন্য অলি আহমদ, বিএনপির কয়েক ডজন নেতা, হেফাজতে ইসলাম ও সর্বশেষ রেজা কিবরিয়াকে হাত করে মাসুদ করিম।
মাসুদ করিম নামের ঐ প্রবাসী আমেরিকান বাংলাদেশী ব্যাংককে ও কাঠমান্ডুতে বেশ কয়েকটি সম্মেলন আয়োজন করেছিল। তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার পরিচয় দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাদের বিভ্রান্ত করলেও মাসুদ করিম ওরফে এনায়েত করিম আসলে বাংলাদেশের সরকারী গোয়েন্দা সংস্খা ডিজিএফআইর পেইড এজেন্ট। মেজর জেনারেল খালেদ মামুন শেখ হাসিনা সরকারের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক থাকতে মাসুদ করিমকে রিক্রুট করা হয়।
এরপর থেকে মাসুদ করিম সিএইএর পরিচয় দিয়ে বিএনপির ওপরে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ওপরে প্রভাব বিস্তার করে তাদেরকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হন যে, সিআইএকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে দখলদার হাসিনা সরকারের পতন ঘটাকে সক্ষম হবেন। সরকার নামানোর কথা বলে মাসুদ প্রায়শই বাংলাদেশী কিছু পলিটিশিয়ানদের নিয়ে দেশে বিদেশে মিটিং করেন। অনেককে টাকা পয়সা ও বিমানের টিকেটও দেন।
এই বিষয়টি বিএনপি’র হাইকমান্ড উপলব্ধি করতে পারেন এবং এর ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেন। দলের যেসব নেতা মাসুদের সাথে সম্পর্ক রেখেছিল তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। রেজা কিবরিয়ার ব্যাপারেও একই কাজ করে বিএনপি।
নূরুল হক নূরুদের বিনএপি বুঝাতে সক্ষম হয় যে, মাসুদ করিম একজন সরকারি গোয়েন্দা। বিরোধী দলকে মিসগাইড করাই তার কাজ। এই কারণে রেজা কিবরিয়াকে সতর্ক করতে বলে নূরুদের। নূররা রেজা কিবরিয়ার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরই প্রেক্ষিতে বিএনপির পরামর্শে রেজা কিবরিয়াকে দল থেকে সরিয়ে দেয় গণঅধিকার পরিষদ।
এনালাইসিস বিডি