জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দাবি করেছে, গুলশানের স্পেনিশ রেস্টুরেন্টটিতে তারাই হামলা চালিয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর প্রকাম করেচে সংগঠনটির বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত আমাক। এতে আরো বলা হয়, ওই হামলায় তারা ২০ জনকে হত্যা করেছে। [ads1]
যদিও সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী দুই পুলিশ কর্মকর্তা হিত হয়েছেন এ ঘটনায়। তারা হলেন- বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম। গোলাগুলির সময় তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকেই।
তবে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান বেকারি নামের ওই রেস্টুরেন্টে বিদেশিসহ ৩০ জনের মতো জিম্মি রয়েছে। তাদের ভাগ্যে কী হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
অস্ত্রধারীরে হাতে জিম্মিদের মধ্যে আছেন ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত করিম, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা সেখানে খেতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন।
হাসনাতের চাচা হান্নান করিম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাতিজা তাকে ফোন করেন। হাসনাত বলেন, চাচা, আমারা জিম্মি হয়ে রয়েছি। ওরা আমাদের মেরে ফেলবে। যেভাবেই হোক আমাদের উদ্ধার করো![ads2]
[ads2]গুলশান-২ এর হলি আর্টিসান নামের ওই রেস্টুরেন্টে জিম্মি হয়ে আছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মালিহা ও তার কয়েকজন বান্ধবী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই ছাত্রীর বাবা বোরহান জানান, তার মেয়ে মালিহা নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। সন্ধ্যায় ৪/৫ জন বান্ধবীকে নিয়ে সে এই রেস্টুরেন্টে যায়। ফোনে মেয়ের সাথে কথা হয়েছে। বলেছে, ‘বাবা আমরা বিপদে, আমাদের বাঁচাও!’
পরবর্তীতে অবশ্য ওই রেস্টুরেন্ট থেকে এক বিদেশিসহ দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত। অবশ্য তারা রেস্টুরেন্টের ভেতর জিম্মিদের সঙ্গে ছিলেন না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিসানে হামলা করে কয়েকজন অস্ত্রধারী। এসময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেস্টুরেন্টের অবস্থানকারীদের জিম্মি করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সদস্য। [ads1]