[ads1]গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের জিম্মি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলছে কমান্ড অভিযান। শনিবার সকালে আকাশে অন্তত তিনটি সেনা হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে।
এদিকে রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অন্তত পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। মেডিক্যাল টিমও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ওপর তিনটি হেলিকপ্টার টহলরত অবস্থায় দেখা যায়। হেলিকপ্টারগুলো সেনাবাহিনীর বলে জানা গেছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কমান্ডো অভিযান শুরু হয়। হেলিকপ্টার ছাড়াও সেনাবাহিনীকে ভারি অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে দেখা গেছে।
এদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ফটক সতর্ক অবস্থায় খোলা রাখা হয়েছে। যাতে অাহতদের হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সহজে নেওয়া সম্ভব হয়।[ads2]
ফটকের সামনেই পুলিশ ক্রস বর্ডার ফিতা দিয়ে বেরিকেট দিয়ে রেখেছে যার ভেতরে সাংবাদিকসহ কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
হাসপাতালটির সামনেই ৭৮ নং রোডে কমপক্ষে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছিল যার সবগুলিই অভিযানস্থলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলি আর্টিজানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের এই রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
এই হামলার ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টিলিজেন্স। ওয়েবসাইটটি থেকে জানানো হয়,‘আইএস দাবি করেছে, গুলশানে ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। পুলিশ শুধু দুই কর্মকর্তার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’[ads2]