ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সরাসরি বাতিল করতে পরবে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল বিধি লঙ্ঘন করলে ওই দলকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেয়া যাবে।
ইউপি নির্বাচনে এসব নতুন বিধান যুক্ত করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রথমবারের মতো ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে সরাসরি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা কমিশন নিয়েছে। একই সঙ্গে সাজার পরিমাণও বাড়িয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনগুলোতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় শুধুমাত্র ৬ মাস কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
চূড়ান্ত বিধিমালায় ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা সরকারি সুবিধা ছেড়ে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। তবে পৌরসভা নির্বাচনের মতোই মন্ত্রী-এমপি, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রচারণায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন না।
বিধিমালার ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত রেকর্ড কিংবা লিখিত রিপোর্ট থেকে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি কোনো প্রার্থী বা তাহার নির্বাচনী এজেন্ট এই বিধিমালর কোনো বিধান লঙ্ঘন করেছেন বা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছেন এবং অনুরূপ লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের চেষ্টার জন্য তিনি চেয়ারম্যান বা ক্ষেত্রমতে, সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হতে পারেন, তাহলে কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে কমিশন লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।
নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষ হলেই গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। এর পরই উপকূলীয় প্রায় ৭ শতাধিক ইউপির তফসিল মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
এর পরই ধাপে ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ করবে ইসি। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।