অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, নির্যাতিত কৃষক সমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেরেবাংলার গঠিত ‘ঋণ সালিসী বোর্ড’ আজও প্রশংসিত। তাঁর উদ্যোগে বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনী আইন, দোকান কর্মচারী আইন পাস হয়। ফলে এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিক উপকৃত হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমৃত্যু সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর আপসহীন সংগ্রামে ঋণ সালিসী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এ দেশের কৃষককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ভূমির ওপর এ দেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি তাঁর অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ইতিহাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এ দেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ রাখবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমি এ মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’