ঢাকার গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে হামলার পরপরই এটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে প্রচার শুরু করে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম। [ads1]
প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যম এ হামলার খবরের সঙ্গে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের তথ্য জুড়ে দেয়। সিএনএন ও এনডিটিভি, টেলিগ্রাফ, দ্য হিন্দুসহ কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের অনলাইনে ঘটনার লাইভ আপডেট দেয়।
সিএনএনের অনলাইন সংস্করণে আহতের সংখ্যা ৪০ জন উল্লেখ করা হয়।তাদের অনলাইনে হামলার জায়গাটি গুগল ম্যাপ দিয়ে চিহ্নিত করে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করে। সিএনএন জানায়, ‘সন্ত্রাসীরা গুলির পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়,ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে বৈঠক হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিষয়টি অবহিত হয়েছেন।[ads2]
আল জাজিরা শিরোনাম করে বন্দুকধারীদের হামলায় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা আক্রান্ত। কাতারভিত্তিক এ গণমাধ্যমটি জানায়, ইতালীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনায় তার নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা (ভায়োলেন্স) উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বিবিসি তাদের অনলাইন সংস্করণের শিরোনাম করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জিম্মি সংকট। প্রতিবেদনে তারা বার্তা সংস্থা আমাকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে ২০জন বিদেশী বন্দুকধারীদের হাতে জিম্মি রয়েছেন এবং এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন।
মিশরের জাতীয় সংবাদ সংস্থা আহরাম অনলাইন শিরোনাম করেছে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অ্যাবার্ট রেস্টুরেন্টটিকে জনপ্রিয় বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও আহরাম এ হামলাকে পুরোহিত হত্যার সঙ্গে যোগসূত্রের ইঙ্গিত করেছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভেদ জঙ্গিদের উত্থানে সহায়ক হচ্ছে।[ads1]
রেস্তোরাঁর এক কর্মীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ‘হামলাকারীরা রেস্তোরাঁয় ঢুকেই বোমা ছুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ‘৮ থেকে ১০ জন এ হামলায় অংশ নেয়। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, ‘অন্তত ৬০ জন সেখানে আটকা পড়েছেন।’ ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ‘ঢাকায় ভারতের দূতাবাসের সব কর্মী নিরাপদ রয়েছেন।’
টেলিগ্রাফ তাদের খবরে বলে, ‘বাংলাদেশে চাপাতি হামলার ঘটনা ঘটলেও এ ধরনের সমন্বিত হামলা এটিই প্রথম।’ আনসার আল ইসলাম এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলেও জানায় পত্রিকাটি।
সব গণমাধ্যমই ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব, সোয়াত, বিজিবিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কথা জানায়। এ ছাড়া গার্ডিয়ান, ইউএসএ টুডে, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, এনবিসি গুরুত্ব দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।[ads1]