গতকাল জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে হরতাল অবরোধে পেট্রোল বোমায় গদ্ধদের নিয়ে এক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেননা প্রধানমন্ত্রী। নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদেরও।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল চলাকালে নাশকতায় নিহত বেশ কয়েকজনের পরিবারের সদস্য এবং আহত ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলের। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন তাঁদের স্বজন হারানোর ব্যথার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী জাদুঘরে পৌঁছে প্রথমেই ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী’ গ্যালারিতে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের ওপর প্রায় ১৫০টি আলোকচিত্র ও সংবাদপত্রের কাটিং প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনী আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। প্রধানমন্ত্রী জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে পেঁৗছানোর পর ‘বিএনপি-জামায়াতের অগি্নসন্ত্রাস :লুণ্ঠিত মানবতা’ শীর্ষক ১৫ মিনিটের ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। মানুষের ওপর নৃশংসতার এই প্রামাণ্যচিত্র দেখার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চোখ মুছতে দেখা গেছে। কখনও কেঁদে ফেলেন, কখনও বর্বরতার চিত্র সইতে না পেরে মাথা নিচু ও চোখ বন্ধ করে ফেলেন। এর পর আলোচনা সভার মঞ্চে উঠে সেখানে বসে থাকা রাজনীতির আগুনে নিহতদের পরিবার-পরিজন এবং আহতদের কাছ থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের কথা শোনেন; তাদের সান্ত্বনা দেন।
নিজের কষ্টের কথা তুলে ধরে মাফরুহা বেগম নামে একজন বলেন, চোখের সামনে আমার স্বামী-সন্তান পুড়ে মারা গেছে। স্বামীর ওপরেই আমাদের পুরো সংসার নির্ভর ছিল। এখন আমাদের কী হবে? আমার ফুলের মতো মেয়েটাকে কেন এভাবে পুড়িয়ে মারা হলো বলতে পারেন?’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী-সন্তানকে শহীদের মর্যাদা দিন। যারা এসব করছে তাদের ধরুন, শাস্তি দিন।