রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার আওতাধীন ইমপালস হাসপাতাল। করোনাকালে হাসপাতালটি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিল; কিন্তু বর্তমানে মালিকপক্ষের দ্বন্দ্বে ডুবতে বসেছে হাসপাতালটি।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জাহির আলামিন বলেন, গত মাসের ৯ তারিখে হঠাৎ একটি অবৈধ বোর্ডসভার মাধ্যমে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও মামলার আসামি এবং মহিলা দলের অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদিকা খালেদা ইয়াসমিনকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়; যার কোনো আইনি বৈধতা নেই এবং এই মহিলা দলের নেত্রী খালেদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে আমাকে অপমান করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে আমি আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত শুনানি করে ৭ ফেব্রুয়ারি আমার পক্ষে রায় দিয়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ রায়ের কপি নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে থানায় যাই এবং ওসির সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে গিয়ে আমার অফিস রুমে যাওয়ার লক্ষ্যে উপরে উঠার চেষ্টা করি; কিন্তু নিচেই আমাকে বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সাহায্যে আমি বিকালে উপরে উঠি এবং আমার রুমে প্রবেশ করি।
তিনি বলেন, রাতের বেলায় হঠাৎ এক লোক এসে নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে বলেন- আপনি এই চেয়ারে বসে আছেন কেন? তখন আমি তাকে বলি আপনি কি ‘ল’ বুঝেন? এরপরই ওই লোক বলেন- আমি ‘ল’ জানি না, মানুষ মারতে পারি এবং মানুষ জবাই করতে পারি- এ কথা বলেই আমার ওপর হামলা চালায়। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকরা আমাকে তার হাত থেকে বাঁচান। যেসব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন তাদের মোবাইল এবং ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে কিন্তু সব সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে ওই ব্যক্তি চলে যান। এ ঘটনার ভিডিও রয়েছে আমার কাছে।
ডা. জাহির আলামিন বলেন, তার কিছুক্ষণ পরই মনির নামের আরেকজন লোক এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে তাকে পাঠিয়েছে বলে আমাকে বের করে দেন। এর আগে আমাকে কৌশলে এক রোগীর মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বিএমডিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞা করানো হয়- এই খালেদা ইয়াসমিন সিন্ডিকেটের কূটকৌশলে; যার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এভাবেই তারা আমাকে বারবার আক্রমণ করছে; আমি এর বিচার চাই।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক রায়হান বলেন, ইমপালস হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে দেখি প্রতিপক্ষ গ্রুপ বহিরাগত লোকজন ডা. জাহির আলাআমিনকে নিয়ে অকথ্য গালিগালাজ করছে এবং এক লোক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে আমিসহ উপস্থিত অন্য সাংবাদিকদের এমডির রুম থেকে জোর করে গালিগালাজ করে বের করে দিয়ে ডা. জাহির আলামিনকে মারধর করতে থাকে। পরে আমরা তাকে বাধা দেই এবং ছবি তুলা শুরু করি। পরক্ষণেই আমাদের এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত খালেদা ইয়াসমিনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি বলেন, আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।