আসছে ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে যুক্ত হচ্ছে দুই নতুন বিলাসবহুল লঞ্চ

0

launch-sundorban-10[ads1]ঈদকে সমানে রেখে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন দুই বিলাসবহুল লঞ্চ। এগুলো হচ্ছে বেসরকারি লঞ্চ কম্পানি সুন্দরবন নেভিগেশনের সুন্দরবন-১০, সালামা ওয়াটার ওয়েজের পারাবাত-১২। লঞ্চ দুটি চলাচল শুরু হলে এবারের ঈদে এ রুটের যাত্রীদের বাড়ি ফেরা অনেকটা সুগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঈদকে সামনে রেখে রোজার মাঝামাঝি সময়ে চলাচল শুরু করবে লঞ্চ দুটি। ইতিমধ্যে এ রুটে চলাচলের জন্য রুট পারমিট অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ঈদকে সমানে রেখে লঞ্চ শিগগিরই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে সুন্দরবন-১০ ও পারাবাত-১২ চলাচল করবে। ইতিমধ্যে লঞ্চ দুটির নির্মাণকাজ শেষে পানিতে ভাসানো হয়েছে। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লঞ্চ দুটির মধ্যে সুন্দরবন-১০ বরিশাল নগরের বেলতলা এলাকায় নিজস্ব ডকইয়ার্ডে বানানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এটি পানিতে ভাসানো হয়েছে। সাজসজ্জার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পারাবাত-১২ লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ডকইয়ার্ডে বানানো হয়েছে। চলাচলের আগে খুঁটিনাটি কাজ শেষ করা হচ্ছে। এখন শুধু অপেক্ষা লঞ্চ দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের।

লঞ্চ দুটির একটি সুন্দরবন-১০-এ লিফট স্থাপন করে ভিন্নমাত্রা যোগ করা হয়েছে। প্রায় চারতলাবিশিষ্ট লঞ্চটিতে ইন্টারনেট ওয়াই-ফাই, এটিএম বুথ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিশু বিনোদনের জন্য বেবি কর্নার, থাকছে সেলুন, খাবারের জন্য মানসম্মত হোটেল, কফি ও টি হাউস।[ads2]

সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক সাইফুর রহমান রিন্টূ বরিশাল লাইভকে বলেন, তৈরির সময় যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণির কেবিনগুলো বানানো হয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক তিন তারকা হোটেলের আদলে। ব্যয়বহুল ও দৃষ্টিনন্দন আসবাবে সাজানো প্রতিটি কক্ষ। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে নিরাপদ ও বিলাসবহুল লঞ্চটি। লঞ্চের শতভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। নৌমন্ত্রীসহ আরো কয়েকজন মন্ত্রীর লঞ্চটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তাঁরা সময় দিলেই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে। আগামী ১৫ রমজানের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সুন্দরবন নেভিগেশন সূত্র জানায়, ৩৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের এ নৌযানটির প্রস্থ ৫২ ফুট।

রয়েছে লোয়ার ডেক, আপার ডেক। যাত্রীদের জন্য থাকবে দুই শতাধিক প্রথম শ্রেণির কক্ষ (কেবিন), ১৫টি ভিআইপি কক্ষ, ৪০টি সোফা বা বিলাস আসন। অনুমোদিত যাত্রী ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪০০ জন। এ ছাড়া প্রায় ২০০ টন পণ্য পরিবহনের সুবিধাও রয়েছে এটিতে। জার্মানির তৈরি দুই হাজার ৭৫০ অশ্বশক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও নৌযানটির বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি এবং ভিআইপি কক্ষসহ ডেকের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিতকরণে তিনটি শক্তিশালী জেনারেটর ও একটি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সংযোজন করা হয়েছে।[ads1]

হুইল হাউসে (চালকের কক্ষ) সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার সুকান ‘ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে লঞ্চটি চলাচলরত নৌপথের এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যেকোনো নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে। এমনকি ঘন কুয়াশার মধ্যেও নৌযানটি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে পিন্টু জানান।

পারাবাত লঞ্চের বরিশাল অফিস সূত্র জানায়, প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ নৌযানটিতে থাকছে দুই শতাধিক প্রথম শ্রেণির কক্ষ (কেবিন), আটটি ভিআইপি কক্ষ, ডেকে যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় এক হাজার ৫০০ জন। লঞ্চটিতে ২০০ টনেরও অধিক পণ্য পরিবহনের সুবিধা থাকবে। শক্তিশালী ইঞ্জিন ছাড়াও নৌযানটির বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি এবং ভিআইপি কক্ষসহ ডেকের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিতকরণে তিনটি শক্তিশালী জেনারেটর সংযোজন করা হয়েছে। হুইল হাউসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার সুকান ‘ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ঘন কুয়াশার মধ্যেও এ নৌযানটিও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

বিআইডাব্লিউটিএ বরিশাল বন্দর কর্তকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরিশাল লাইভকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানি সুন্দরবন নেভিগেশনের সুন্দরবন-১০ ও সালামা ওয়াটার ওয়েজের পারাবাত-১২ খুব শিগগির ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। ফলে এ রুটে চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০। রমজানের মধ্যে যেকোনো দিন লঞ্চ চলাচল শুরু করবে এ রুটে।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More