প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আয়োজনটা হয়েছে অনেকটা দায়সারাভাবেই। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিয়েই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ইসি সবসময় আড়ম্বরপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে করে তফসিল ঘোষণা করলেও এবারই প্রথম বৃহস্পতিবার দায়সারাভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে ইসি।
এদিকে ছয়টি ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনযোগ্য সবগুলো ইউপির তালিকাই প্রস্তুত করতে পারেনি কমিশন। শুধুমাত্র প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির তালিকা করতে পেরেছে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এইসব ইউপির ভোট গ্রহণ হচ্ছে ২২ মার্চ। এরপর পর্যায়ক্রমে ৪ হাজার ২৭৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু রোববার পর্যন্ত বাকিগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি ইসি। এছাড়া এ নির্বাচনের ভোটার, ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ ও রিটার্নিং অফিসার নিয়োগসহ কোন তথ্যই আপডেট নেই ইসিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, সব সময় বড় নির্বাচনের তফসিল সিইসি দেন। কিন্তু এবারের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের মতো নজির এর আগে কখনো ছিল না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখনও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তালিকা পাঠায়নি। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সবগুলো ইউপির তালিকা পেয়ে যাব। এজন্য নির্বাচনের কোনো সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভোট হবে ২২ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ ৭১০টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে। এইএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে এই তারিখ ঠিক করা হয়েছে। প্রথম দফার তফসিল কমিশন ঠিক করেছে। বাকিগুলো স্থানীয় পর্যায়ে ঘোষণা করা হবে।
Next Post