সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ইভিএম দিয়ে যাকে ইচ্ছা তাঁকেই বিজয়ী করা সম্ভব। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কোনো সমস্যা নয়। এটি একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রে যা ইনপুট দেওয়া হবে তাই হবে। কিন্তু এর পেছনে যারা কাজ করে তারাই সমস্যা। অবস্থা এমন যে, বেড়ায় খেত খাওয়ার মতো।
সোমবার (১৯শে ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএম শুধু ফল দেয় দাবি করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি একটি যন্ত্র, তাকে যা ইনপুট দেওয়া হবে তার ফলাফল সে প্রদর্শন করবে। তবে এর পেছনে যারা থাকে, তারাই দুষ্কর্মগুলো করে। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারাই দুষ্কর্ম করবে।
সুজন সম্পাদক বলেন, ইভিএম এমন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে পক্ষপাতমূলক যেকোনো কর্মকাণ্ড করা যায় এবং আমরা বরাবরই ইভিএমের বিপক্ষে। কারণ এটি দিয়ে একটি পক্ষকে জেতানো সম্ভব। সুতরাং আমরা মনে করি ইভিএম দিয়ে কখনোই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
সুজন নিরপেক্ষ নয়, একটি গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকারে যারা আছেন, তারাই একসময় আমাদের বাহবা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, সুজন ভালো সংগঠন, আমরা নিরপেক্ষ সংগঠন। কিন্তু যখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে নানা রকমের দুর্নীতি ও অনিয়মের সুস্পষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছি; তখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে। আসলে এটা আমাদের দেশের একটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে। আমরা নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করতে চাই না, নিজের দুর্বলতা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেই। আমরা কোনো দলের পক্ষে নই, আমরা জনগণের পক্ষে, আমরা ভোটারদের পক্ষে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, আমি জ্যোতিষী নই, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাকে জ্যোতিষী হতে হবে। জনগণ চাচ্ছে এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হোক। যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আছেন। তারা নিরপেক্ষভাবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এটাই।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যেন গাইবান্ধার মতো আচরণ না করেন। ঠিক তেমনিভাবে সবাই যদি সবার স্বার্থে ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থ নিয়ে আসি তাহলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব।
রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু, রংপুর মহানগর সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খাইরুল ইসলাম বাপ্পি এবং মোখলেছুর রহমানসহ রসিকের ভোটে অংশ নেওয়া ৯ মেয়র প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।