নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিভিন্ন পদে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে চাকরি দেওয়ার আভিযোগ ওঠায়, বিভিন্ন কোটায় নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না তা যাচাই করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।
বৃহস্পতিবার ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিটি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১৯ কর্মচারীর তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভকে জানান, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের শূন্য পদে শতাধিক কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৯ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সব কর্মচারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না তা যাচাই করতে নিয়োগ পাওয়াদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম, বাবার নাম, উপজেলা/জেলা, জন্ম তারিখ, মুক্তিবার্তার নম্বর, গেজেট নম্বর ও তারিখ, সনদ নম্বর, তারিখ ও স্মারক নম্বর যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে ইসির ওই চিঠিতে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে বিস্তারিত তথ্য ইসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়ারা হলেন- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর খালেদা আখতার রোজাউল করিম, মো. এনামুল হক, মো. বানী ইয়ামিন ও কাজী মুহাম্মদ মাজিদুল হক। অফিস সহায়ক ববিউল ইসলাম, নিত্যানন্দ মণ্ডল ও সিরাজুল ইসলাম।
তাছাড়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোছা. আয়েশা বেগম, সেলিনা, মোছা. মোছা. কমলা খাতুন, মোছা. ফাহিমা, আবুল হাসেম ও মোছা. বেলী খাতুন। নিরাপত্তা প্রহরী মো. খলিলুর রহমান, মো. আল আমিন, মো. ফারুক আহমেদ ও সাইদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ।