নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সবশেষ ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রবিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে অবসর দেওয়া হলো।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।
মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন।
তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবেদনও হয়েছিলো।
এরপর ২০১৯ সালে ২৮ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাকে অবসরে পাঠান হল। এনিয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন এক নজির গড়লো কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি। নানা অভিযোগের মুখে ইসিতে এর আগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করার নজির থাকলেও অবসরে পাঠানোর ঘটনা দেখা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন