ঢাকা: এবারের ঈদে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমনাবন্দরের নিরাপত্তায় থাকছেন ৯ শতাধিক এপিবিএন সদস্য। প্রতিবারের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। ঈদের ছুটিকে ঘিরে কোনোভাবেই যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সেজন্যই নেওয়া হয়েছে এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি সদস্যই সততা, নিষ্ঠা আর দায়িত্বশীলতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিমানবন্দরের শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বন্ধ হয়েছে চুরি, ছিনতাই। এমনকি হারিয়ে যাওয়া লাগেজও ফিরে পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান রোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ।
আর এই কারণে প্রতিবারের ন্যায় এবারের ঈদেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ঈদের পূর্বে যেমন নিরাপত্তা ছিল ঈদের দিন বা যে কয়েকদিন সরকারী ছুটি থাকবে সেই সময়টাতেও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। ঈদের ছুটির কারণে নিরাপত্তা ঢিলেঢালার কোনো সুযোগ থাকবে না।
ঈদের সময় উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়। ঈদের দিন সেখানে কর্মকর্তাসহ কর্মীদের জন্য পশু কোরবানি করে উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যারাকের বাইরে যে সকল সদস্য থাকেন এবং যারা কোরবানি করতে পারেন নি তাদের জন্যও মাংসের ব্যবস্থা থাকবে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানকার যা জনবল তার ২০ শতাংশ ছুটি দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে প্রায় ৯শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সহকারী পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তারা তিন শিফটে আর সদস্যরা ৪ শিফটে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এক ঈদে ছুটি কাটালে অন্য ঈদ অফিসে করতে হয়। কিন্ত আমরা সেই অনুপাতে ছুটি দিতে পারি না। এখানে জনবল সমস্যা রয়েছে। তারপরও আমরা সবাই যেন ঈদ উৎসব করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের কারণে ছুটি থাকবে সেই হিসেবে এখানকার নিরাপত্তার কোন ব্যাঘাত ঘটবে এমন হবে না। ঈদের পূর্বেও যেমন ছিল ঈদের সময়ও একই রকম থাকবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোন ধরনের ব্যত্যয় ঘটবে না। ঈদে প্রত্যেক সদস্যের জন্য উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।