
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ব্যক্তিগত উদ্যোগ সমাজে বিরাজমান সকল ধরনের কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলবে; যা উগ্র-ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরকারের কার্যক্রমের সাফল্য নিশ্চিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে কাজী মাহবুবউল্লাহ স্মৃতি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
তিনি বলেন, ‘আমি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নিজ নিজ গ্রামের আশপাশের দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে, মেধাবীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে, যাতে তারা বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।’
কাজী মাহবুবউল্লাহ স্মৃতি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুরস্কারবিজয়ী ও ট্রাস্টের সদস্যরা- ফোকাস বাংলা
দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল শিক্ষাই পারে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়ে তুলতে।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জোবায়দা এম. লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন লেখক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বেগম নিলুফার জাফরউল্লাহ এমপি।
২০১৫ সালের পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনের মধ্যে এমিরেটাস অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন পূর্ববর্তী পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এবারের কাজী মাহবুবউল্লাহ স্মৃতি পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন- সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় আনিসুল হক, বিজ্ঞানে পাটের মলিকিউলার বায়োলজি নিয়ে বিশেষ গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, খেলাধূলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী।
এদিন ছিল বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের ২৭তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, ১৯৭৮ সাল থেকে ট্রাস্ট এই পদক প্রদান করে আসছে। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় প্রদান করা হয়।