মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কাল সারাদেশে হরতাল হয়ে ওঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রসা ছাত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর মঙ্গলবার ভোরে হাফেজ মাসুদুর রহমান (২০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হলে এলাকা আবারো উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে।
এর পরিপেক্ষিতে জামিয়া ইউনিছুয়া মাদ্রাসাসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ মাদ্রাসায় বৈঠক করে আগামীকাল সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন।
মঙ্গলবার ভোরে জেলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মাসুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার হাফেজ ইলিয়াস মিয়ার ছেলে। তার জানাযা বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
নিহত মাসুদের সহপাঠীরা জানান, সোমবার রাতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মাসুদ পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকেই শহরের টিএ রোড, হাসপাতাল রোড, কান্দিপাড়ার মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করে মাদ্রাসা ছাত্ররা। তারা মঠের গোড়া এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শহরে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে, সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২০ সদস্যসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকশ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকশ’ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।আস