ঢাকা: নববর্ষের মিলন মোহনায় এক হলো বাঙালি। তৃঞ্চার্ত হৃদয়ের সবটুকু আবেগের উত্তাপে ফিকে হলো বৈশাখের প্রথম দিবসের রূদ্রতা। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের হৃদয়ের অর্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে নতুন আলোয় জীবনকে পরিপূর্ণ করতে স্বাগত জানালো বঙ্গাব্দ ১৪২২-কে। জাতির সুখ-শান্তি আর সমৃদ্ধির কামনায় সবকণ্ঠ মিলে সবাই বলে উঠলেন ‘এসো হে বৈশাখ… এসো এসো’। ভালোবাসা আর মৈত্রীর উত্তাপ প্রাণে ছড়িয়ে অশুভ শক্তি আর অন্ধকারকে পরাভূত করার দীপ্ত অঙ্গীকার করে বাঙালি শুরু করেছে নতুন বছরের যাত্রা।
কথা-সুর, হাসি-আনন্দ আর প্রাণের উচ্ছ্বাসের উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থেকে গেলো দিনটি। সুখময় এই দিনটি ঘিরেই অতিবাহিত হবে পুরো বছরটি- এমনটিই আশা সবার। ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতী আয়োজন আর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে যে উৎসবের ঢোলে কাঠির বারি পরে তা চলতে থাকে মধ্যরাতের আগ পর্যন্ত।
মঙ্গলবার রাজধানীসহ পুরো বাংলার জনপদে ছিল আনন্দের হিল্লোলধারা। নতুন বছরের আলোকঝর্ণায় নিজেকে স্নাত করতে সব বাঙালি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন প্রাণের উৎসবের মিতালীতে। সকাল থেকে রাত অব্দি পুরো রাজধানী ছিল উৎসবের নগরী। রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ- কোথাও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেছেন যে, ঘরে আজ কোনো লোক নেই। বিভিন্ন জায়গায় ভিড় এতোটাই পরিলক্ষিত হয়েছিল যে, চরম ঘরকুণোও মনে হয় ঘরের বাইরে। প্রত্যেকেই মুক্ত মনে আবাহন করেছে বাংলার নতুন বছরকে। আর নানা আয়োজনের বর্ণিল ছোঁয়ায় প্রত্যেকেই মেতেছিল প্রাণের উৎসবে। বাবা-মা কিংবা প্রিয়জনের হাত ধরে সবাই ছুটে বেড়িয়েছিলেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। লাল-সাদা শাড়ি ও কাচের চুড়ি আর খোঁপায় বেলী ফুলের মালা গেঁথে শ্বাশত বাঙালি ললনার রূপ নেয়া তরুণীদের পাশাপাশি তরুণেরাও ছিলেন না পিছিয়ে। পাঞ্জাবি-ফতুয়া আর ধুতি পরে তারাও যেন আগত সবাইকে স্মরণ করিয়ে আজো বাঙালিয়ানা শেষ হয়ে যায়নি। হতে পারে পোশাকি, তবুও হৃদয়ে ষোলআনা বাঙালিয়ানা তো আছে! শুধু পোশাক আর ঘুরে বেড়ানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল না বাঙালি সবচেয়ে বড় এ অসাম্প্রদায়িক এ উৎসব। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সবাই পরম করুণাময়ের কাছে প্রণতি জানিয়েছেন- ‘যা কিছু অশুভ ও অমঙ্গলকর সব যেন বাংলাদেশ থেকে কোন দূর অজানাতে হারিয়ে যায়’।
শুধু বাঙালিরাই নন, তাদের সঙ্গে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন এদেশে কর্মরত বিদেশিরাও। মঙ্গলবার সকালে বের হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব ‘বর্ষবরণ’ দেখতে। লাখো মানুষের ঢল, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা মুগ্ধ করেছে আইরিশ নাগরিক ইলিয়ানাকেও। রমনা বটমূলে ছায়ানটের উৎসবে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দেশের উৎসব একেবারেই ভিন্ন। এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে তার একটুও মিল নেই। বাংলাদেশের আসার পর মনে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতির বাইরে ভিন্ন সংস্কৃতি রয়েছে, যাকে আপন ভাবা যায়।’
বৈশাখ বরণের একটা বড় আকর্ষণ ছিল রাস্তার ওপরে নানা কুটির শিল্পের মেলা। রঙ করা মাটির তৈরি নানা রকম জিনিস, কাঠের তৈরি খেলনা ইত্যাদির পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন অসংখ্য বিক্রেতা। শাহবাগ মোড় থেকে দক্ষিণে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো রাস্তার দুই পাশে দিনভর চলে বেচাকেনা। বিক্রেতাদের মুখে ছিল হাসির ঝিলিক। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি আর খাদ্য সঙ্কটে যখন সারাদেশে পর্যুদস্ত, ঠিক সে সময়েও বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত আর বাধভাঙা উচ্ছ্বাস সত্যি আশা জাগায়।
বাংলা একাডেমি
নববর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় রবিরশ্মির শিল্পীদের পরিবেশনায় ও মহাদেব ঘোষের পরিচালনায় বর্ষবরণ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে একাডেমির নজরুল মঞ্চে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ছিল একক বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্বরচিত ছড়া-কবিতা পাঠ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। বাংলা নববর্ষ বিষয়ে একক বক্তৃতা প্রদান করেন এমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী অনিমা রায়, এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ, ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, মাহবুবা রহমান, সঞ্জয় কুমার দাস, সুধীর মণ্ডল। ছড়া ও কবিতাপাঠ পর্বে অংশ নেন কবি রফিক আজাদ, রবিউল হুসাইন, মুহাম্মদ সামাদ, সুকুমার বড়ুয়া, রফিকুল হক, মাহবুব তালুকদার, আখতার হুসেন, মাহমুদ উল্লাহ, ফারুক নওয়াজ প্রমুখ।
এছাড়াও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে শুরু হয়েছে দশদিনের বৈশাখী মেলা। আরো রয়েছে বইয়ের আড়ং। যার উদ্বোধন করেন এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ১লা বৈশাখ থেকে ১০ বৈশাখ পর্যন্ত বইয়ের আড়ং অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আড়ং খোলা থাকবে। আড়ং-এ বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০-৭০% ছাড়ে বিক্রি হবে।
শিল্পকলা একাডেমি
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এতে ছিল বাউল গান, রায়বেশে নৃত্য, সঙযাত্রা, ধামাইল, যাত্রাপালা, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও ১০টি নাটকের দলের কোরিওগ্রাফি।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী
নাচে, গানে মুখরিত হয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪২২-কে বরণ করে নিলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে শুরু হয় উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। শাহাদাৎ আলী খানের সরোদ বাদনের মাধ্যমে শুরু হয় এ আয়োজন। এরপর তিনটি দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। তাদের কণ্ঠে গীত হয় ‘এসো হে বৈশাখ… এসো এসো’, ‘আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই’ এবং ‘বাংলা আমার সরষে ইলিশ’। সারাদিনের আয়োজনে ছিল উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শাখা সংসদের শিল্পীদের পরিবেশনা। উদীচীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন একক সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য।
বর্ষবরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে রাখা হয় মুড়ি-মুড়কি ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী খাবারের ব্যবস্থা। ছিল নানা ধরনের বর্ণিল মুখোশ ও মাটির সরা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ভারতের বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী শুভেন্দু মাইতি লোক গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন উপস্থিত সবাইকে।
ঋষিজ
নববর্ষ উপলক্ষে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করে বর্ষবরণ উৎসব ‘জাগো নব আনন্দে’। সকাল সাড়ে ৭টায় ভাসানী সড়কের (শিশুপার্কের সামনে) নারকেলবীথি চত্বরের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী এ বছর বর্ষবরণ উৎসবের ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা জানান দু’জন বিশিষ্টজনকে। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে লোকসঙ্গীত দল ‘দোহার’। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর নিজস্ব পরিবেশনা ছাড়াও এতে ছিল নাচ, গান, কবিতা ও আবৃত্তি। উৎসবে সভাপতিত্ব করেন ঋষিজ সভাপতি ফকির আলমগীর।
চ্যানেল আই ও সুরের ধারা
সুন্দর হোক আগামী দেশ হোক মঙ্গলময় এই প্রত্যয়ে চ্যানেল আই ও সুরের ধারার আয়োজনে উদযাপন হলো হাজারও কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২২। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে হাজারো শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হয় এই উৎসব- চলে বেলা ১টা পর্যন্ত।
সেতারের সুরের মুর্চ্ছনায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সূচনা হয় এই অনুষ্ঠানের। এরপর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে হাজারো শিল্পী গেয়ে ওঠেন ‘ওঠো ওঠোরে…। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ… এসো এসো…’। অনুষ্ঠানজুড়ে একের পর এক গান ও নাচ পরিবেশন করেন নির্বাচিত শিল্পীরা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আকরামুল ইসলাম, আবিদা সুলতানা, লিলি ইসলাম, মনির খান, কোনাল প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন আইয়ূব বাচ্চু ও এল আর বি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজন করা বিশেষ অনুষ্ঠানের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলা ভবনের সামনে থেকে সবুজ চত্বরে এ অনুষ্ঠান হয়। বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামালের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এতে বাংলা বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষাথীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব
নানা আয়োজনে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়। বরেণ্য শিল্পীদের একের পর এক লোকসঙ্গীত, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া ও দেশি গানে বর্ষবরণ উৎসব সবাইকে মুগ্ধ করে। মধ্যাহ্নভোজের দেশীয় বিশেষ খাবারে সদস্যরা সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। প্রেসক্লাব সদস্যদের ছেলে-মেয়েদের পরিবেশনায় ‘এসো হে বৈশাখ এসো’ গান দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি
কর্তব্যরত প্রতিবেদকদের জন্য ভিন্ন রকমের একদিন ছিল মঙ্গলবার। দেশবরেণ্য শিল্পী, তরুণ সংস্কৃতিকর্মীদের পরিবেশনার সঙ্গে দেশীয় খাবারের অ্যাপায়নের এ আয়োজনটি করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এতে নানা পরিবেশনায় অংশ নেন শিল্পী সেলিম চৌধুরী, ফোক গানের জনপ্রিয় শিল্পী কুদ্দুস বয়াতী, তরুণ শিল্পী আরাফাত রহমান মিশু, কৌতুক অভিনেতা সৈয়দ মিজানূর রহমানসহ আরো অনেকেই।
সবশেষ আয়োজন ছিল ডিআরইউয়ের সদস্যদের বাচ্চাদের জন্য। শিল্পকলা একাডেমির এ্যাক্রোবেটিক দল নানা পরিবেশনায় মুগ্ধ করেন বাচ্চাদের। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডিআরইউয়ের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজিজুল পারভেজ।
এছাড়াও ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বিকেল ৪টায় লোকসঙ্গীতের আসরের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এর পাশাপাশি বর্ষবরণের নানা আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাজধানীর পাঁচতারকা সোনারগাঁও, র্যাডিসন, ওয়েস্টিন, ঢাকা রিজেন্সি, খাজানাসহ হোটেল-রেস্টুরেন্টেগুলোর উদ্যোগে উদযাপিত হয় নতুন বছরের উৎসব। ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবের উদ্যোগেও ছিল পহেলা বৈশাখের আয়োজন।
এসবের আয়োজনের সঙ্গে রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকাজুড়ে বিভিন্ন কনসার্ট। আবাহনী মাঠে ছিল ‘পাওয়ার ক্যান্ডি বৈশাখী কনসার্ট’। বিকেলের এ কনসার্টে গান পরিবেশন করে ব্যান্ড ফিডব্যাক, চিরকুট, বাউল এক্সপ্রেস এবং জেমস ও নগর বাউল।
একই এলাকার রবীন্দ্র সরোবরে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আলোকিত বৈশাখ’। ভোর ৬টা থেকে চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এতে গান পরিবেশন করেন ইয়াসমীন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শামা রহমান, চন্দনা মজুমদার, কিরণ চন্দ্র রায় প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের নৃত্যশিল্পী, মহাকাল নাট্যসম্প্রদায় ও উপজাতি নৃ-গোষ্ঠী।
রমনা উদ্যানের জামতলায় দেশ টিভি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় আয়োজন করে ‘বৈশাখী আনন্দ তুফান’ শীর্ষক বনসার্ট। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জেমস, সোলস ব্যান্ড, বাপ্পা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, ফিডব্যাক, বৃষ্টি মুৎসুদ্দী, নির্বাচিতা মুৎসুদ্দী, লুবনা লিমি ও বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীরা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ‘আনন্দে মাতো বৈশাখে’ শুরু হয় দুপুরে। পরিবেশনায় অংশ নেয় ব্যান্ড লালন, শূন্য, অ্যাবাউট রাফা, মায়া নহর এবং বাংলাদেশি আইডলের আরিফ ও তুরিন। বনানীর রাজউক মাঠে ‘ইফাদ বৈশাখী উৎসব ১৪২২’ শুরু হয় বিকেল ৩টায়। পরিবেশনায় ছিল মাইলস, অর্থহীন, ওয়ারফেজ, কোনাল, শফি মণ্ডল, বুশরা। কলাবাগান মাঠে চার দিনব্যাপী ‘মোজো বৈশাখী উৎসব’ শুরু হয় দুপুর আড়াইটায়। এতে অংশ নেয় নগর বাউল, শিরোনামহীন, আর্টসেল, চিরকুট।
ফ্যান্টাসি কিংডমে ‘বাংলালিংক প্রিয়জন’ কনসার্ট শুরু হবে বিকেলে। এতে গান পরিবেশন করে ফিডব্যাক, সোলস, হৃদয় খান, জুয়েল মোর্শেদ ও নওমী।