‘ওরা আমার বন্ধুকে মেরে ফেলেছে’

0
[ads1]বহু নাটকীয়তার পর  গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু করে ১২ NADIAথেকে ১৩ মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীদের নিমূল করে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটে। অভিযানে ৩ বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন হচ্ছে দেশের শীর্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ইশরাত আখন্দ। তার নিহত হওয়ার খবরটি ফেসবুকে জানান তার বন্ধু নাদিয়া ইসলাম। ইশরাতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই নিশ্চিত হয়ে শোকাবহ খবরটি জানান তিনি।

ফেসবুকে নাদিয়া লিখেছেন: ওরা আমার বন্ধুকে মেরে ফেলেছে।ইশরাত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে ওয়েস্টিন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টেও কাজ করেছেন তিনি। একসময় ব্র্যাক নেটের মানব সম্পদ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। কাজ করেছেন গ্রামীণফোনেও। অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে কাজ করা এই নারী পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শিশুদের সংগঠন বাতিঘরের পরিচালক তামান্না সেতু ফেসবুকে লিখেছেন: ইশরাত আখন্দকে মেরে ফেলেছে!!! কত বছর আগে থেকে ইশরাত আর আমি ফেসবুক ফ্রেন্ড মনে নেই! কি প্রাণবন্ত একটা মেয়ে ইশরাত।

‘ঈশ্বর থামাও এসব! আর পারছি না। মেয়েটার হাসিমুখ ভাসছে চোখের সামনে… জ্বলে যায় বুক!’

তামান্না সেতু বলেন: নাদিয়া ইসলামের স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম। ইশরাত কাল রাতে হোস্টেজ হিসেবে জিম্মি ছিল গুলশানের রেস্টুরেন্টে। এক ঘন্টা আগে নাদিয়া ইসলাম পোস্ট করেছে, ইশরাত আর নেই![ads2]

বন্ধুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টেলিভিশন সঞ্চালক এবং শিল্পী নবনীতা চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন: সবসময় হাসিমুখের তোমার হৃদয় সবসময় সুখ আর ইতিবাচকতা ছড়িয়ে গেছে।

নবনীতা বলেন: আমার বন্ধু ইশরাত খুব ঘনিষ্ঠভাবে তরুণ চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতেন। তাদের কাজে খুব গর্বিতও ছিলেন তিনি। সবকিছুতে সবসময় তিনি তরুণ ছেলে-মেয়েদের জয়গান গেয়েছেন।

‘ইশরাত, দীর্ঘ পরিকল্পনার কফিটি আমরা এখন হয়তো অন্য কোন বিশ্বে বসে উপভোগ করবো। তার আগে তোমার কথা ধার করেই বলি, সবাই সুখী থাকুক।’

উল্লেখ্য,গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং এসি রবিউল।[ads1]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More