ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় আরো উপরের দিকে উঠে এসেছেন শেখ হাসিনা। মার্কিন সাময়িকীটির এ বছরের তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান ৩৬ নম্বরে। গতবার এ তালিকায় তার অবস্থান ছিল ৫৯তম।
তালিকায় এবারো বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেইটস এবার একধাপ পিছিয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন গতবার চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার জ্যানেট ইয়েলেন।
[ads1]
শীর্ষ দশের মধ্যে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিনা লগার্ড এবারো আছেন ষষ্ঠ স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ঠাঁই পাননি শীর্ষ দশে। গতবার তিনি ১০ম স্থানে থাকলেও এবার তার অবস্থান ১৩তম।
তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জেয়েন হাই, গতবার তিনি ছিলেন ১১তম স্থানে।
বিবিসি জানিয়েছে, রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি ও সেবা খাতে প্রতিনিধিত্বকারী ২৯ দেশের নারীরা আছেন ১০০ জনের এ তালিকায়। যার ৫১ জনই যুক্তরাষ্ট্রের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নয়জন চীনের।
ফোর্বস জানিয়েছে, এসব নারী এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বের অর্ধেক মানুষকে প্রভাবিত করেন।
তালিকায় ৩২ জন প্রধান নির্বাহী, ১২ জন বিশ্বনেতা ও ১১ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছেন। তালিকার ১০০ জনের গড় বয়স ৫৭ বছর। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম ৪১ বছর বয়স ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মেরিজা মেয়ের।
সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৯০ বছর বয়সী রানির অবস্থান ২৯তম। গতবার তার অবস্থান ছিল ৪১তম।
[ads2]
অ্যাঙ্গেলা মারকেল এ নিয়ে টানা ছয় এবং মোট ১১ বারের মতো তালিকায় শীর্ষস্থান পেলেন।
গতবার তালিকায় সপ্তম অবস্থানে থাকলেও এবারের তালিকায় নেই ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ।
এবারের তালিকায় ২৬তম স্থানে রয়েছেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল এনএলডির নেতা অং সান সুচি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল (জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখ) দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
সমালোচকরা মনে করেন, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সমকামীদের অধিকার রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের ওপর সম্প্রতি যেসব ‘হেইট ক্রাইম’ ঘটেছে তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা শেখ হাসিনার আছে এবং তার সেই প্রভাব প্রয়োগ করা উচিত।
হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, যিনি ১৯৭৫ সালে হত্যার শিকার হন।
গতবারের তালিকায় স্থান পাওয়া ভারতের চারজন এবারো তালিকায় আছেন; যাদের কেউ রাজনীতিক নন।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন্ধতি ভট্টাচার্য আছেন ২৫তম স্থানে, গতবার তিনি ছিলেন ৩০তম স্থানে।
আইসিআইসিআই ব্যাংকের সিইও চান্দা কোচার আছেন ৪০তম স্থান, গতবার তিনি ছিলেন ৩৫তম অবস্থানে।
বায়োকনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন কিরন মজুমদার এবার আছেন তালিকার ৭৭তম স্থানে, গতবার ছিলেন ৮৫তম স্থানে।
হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পরিচালনাকারী গ্রুপ এইচটি মিডিয়ার চেয়ারপার্সন শোভনা ভারতিয়া এবারো আছেন তালিকার ৯৩তম স্থানে।
এবারের তালিকায় ৫২তম স্থানে রয়েছেন নেপালের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভাণ্ডারি।
বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের মধ্যে অপরাহ উইনফ্রে গতবার ১২তম স্থানে থাকলেও এবার তার অবস্থান ২১ নম্বরে।
[ads2]